পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর এ নির্বাচনে মেয়র পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে না বলে জানিয়েছে ইসি। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের জন্য ইসির জারি করা এক বিশেষ পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ইসির জারি করা বিশেষ পরিপত্রে বলা হয়, সিটি করপোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ বিধায় সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটি রিট পিটিশন ৯১২৪/২০০৮ এ মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক লাভজনক পদ সাব্যস্ত করা হয়েছে। কাজেই স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৯-এর উপধারা (২) (ঙ) অনুযায়ী মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে উক্ত ব্যক্তি নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হলে তাকে উক্ত পদ হতে পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। কাউন্সিলর পদধারীগণ লাভজনক পদে সার্বক্ষণিক অধিষ্ঠিত নন বিধায় তাদেরকে পদত্যাগ না করে নির্বাচনে প্রার্থী হতে আইনগত কোনো বাধা থাকবে না।’
ইসির উপ-সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ইনকিলাবকে বলেন, এটা আইনেই বলা আছে যে সিটি করপোরেশনের পদে বহাল থেকে সিটি করপোরেশনের মেয়ররা নির্বাচন করতে পারবেন না। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হলে তাকে অবশ্য পদত্যাগ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এর জন্য কোনো সময়সীমা দেয়া নেই। যে কোনো সময় পদত্যাগ করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, এই সিটিতে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ২৪ নভেম্বর, মনোয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ ডিসেম্বর ও প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৫ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২২ ডিসেম্বর।
ইসি জানায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে একজন মেয়রের সঙ্গে ২৭টি সাধারণ ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোট হবে। এখানে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৪১ হাজার ৫১৪ এবং নারী ২ লাখ ৩৭ হাজার ৮৭৮।
না’গঞ্জ আওয়ামী লীগে কোনো বিরোধ নেই : আইভী
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন নাসিক নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান নাসিক মেয়র আইভীর হাতে দলীয় প্রতিক নৌকা তুলে দেয়াকে কেন্দ্র করে আওয়মী লীগের একটি অংশের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে কোনো বিরোধ নেই। আজকে তৃণমূলের সবাই মাঠে নেমে এসেছে। সব ঠিক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভোটের মাধ্যমেই জনগণ প্রতিফলন দেবে।’ শুক্রবার রাত সোয়া ১০টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের দুই নং রেলগেটস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পর কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সাথে এসব কথা বলেন।
এর আগে রাত ১০টার দিকে আইভীকে বহন করা গাড়ি আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এলে নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। নেতাকর্মীদের ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু সেøাগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। এর আগে গণভবন থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ভীষণ খুশি। আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমার ও আমার প্রয়াত আলী আহাম্মদ চুনকার পরিবার থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমি নারায়ণগঞ্জের আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকেও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’
এদিকে গতকাল শনিবার সকালে শহরের দেওভোগে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকে আইভী বলেন, ‘যেহেতু শামীম ওসমান আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, আর দলের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়েছেন সেহেতু দলের প্রতি অনুগত হলে শামীম ওসমান অবশ্যই নেত্রীর মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবেন।’
এদিকে শনিবার সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে আইভীর বাসায় ভীড় করেন। শুক্রবার রাতের মতো শনিবারও বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
অপর দিকে, তৃণমূলের পাঠানো মেয়রের তালিকার বাইরে গিয়ে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ফলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছেন মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ এক বর্ধিত সভা করে সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য তিনজনের নাম ঠিক করে। পরে তা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে পাঠানো হয় বলে জানায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ। তবে সেখানে বর্তমান মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম দেয়া হয়নি। নাম পাঠানো হয়েছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান ও বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশিদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।