Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৩০ রোহিঙ্গাকে অনুপ্রবেশের সময় ফিরিয়ে দিয়েছে বিজিবি

টেকনাফ সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২৪ পিএম

 কক্সবাজারের টেকনাফে মিয়ানমারের ১৩০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করার সময় আটক করে স্বদেশের উদ্দেশ্যে ফিরিয়ে দিয়েছে কোস্টগার্ড ও বিজিবি।  শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এবং শনিবার ভোরে নাফ নদীর নয়াপাড়া ও দমদমিয়া পয়েন্ট দিয়ে আটটি নৌকায় করে তারা অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের ইনচার্জ লে. নাফিউর রহমান জানান, মিয়ানমারের ফাতংজা সীমান্ত দিয়ে সাতটি নৌকায় করে টেকনাফের সাবরাংস্থ নাফ নদীর নয়াপাড়া পয়েন্ট দিয়ে ১২৫ রোহিঙ্গা অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু কোস্ট গার্ডের টহল দল নাফ নদীতে অবস্থান করে তাদেরকে ঢুকতে দেয়নি। নাফ নদী থেকে মিয়ানমারে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফিরিয়ে দেয়াদের মধ্যে ৩৮ জন পুরুষ, ৫৩ জন নারী ও ৩৪ জন শিশু ছিল। অপর দিকে, গতকাল শনিবার ভোররাতে দমদমিয়া সীমান্তের জাদিমুরা এলাকা দিয়ে প্রবেশের সময় পাঁচজন পুরুষকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুজার আল জাহিদ।
জেলেদের ফেরত দেয়নি বিজিপি
এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফে নাফ নদী ও সাগর থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া ১২ জেলেকে এখনো ফেরত দেয়নি মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি। ১৯ নভেম্বর সকালে নাফ নদীর লেদা পয়েন্ট থেকে একটি টানাজাল ও একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা ধরে নিয়ে গেছে সদস্যরা বিজিপি।
ধরে নিয়ে যাওয়া নৌকা ও জালের মালিক লেদা এলাকার সিকদার আলীর ছেলে মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ লাকো জানায়, প্রতিদিনের মত তার জেলেরা টানা জাল নিয়ে মাছ শিকারে যায়। এ সময় নাফ নদীতে জাল রেখে জেলেরা ভাত খেতে কূলে এলে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি) জালসহ তাদের নৌকাটি নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিষয়টি দমদমিয়া বিওপির কোম্পানি কমান্ডারকে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগে গত ১১ নভেম্বর সেন্টমার্টিনের অদূরে সাগর থেকে ছয় জেলেকে ধরে নিয়ে যায় বিজিপি। এর এক সপ্তাহ আগে নাফ নদী থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় তিনজনকে। আর সর্বশেষ গত শুক্রবার আরো তিনজনকে ধরে নিয়ে যায় দেশটির সীমান্তরক্ষীরা।
তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কর্মকর্তারা। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সাথে। এ নিয়ে স্বজনদের খোঁজ না পেয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে জেলেদের পরিবার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ