Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এমপি তানসেনের অবস্থান নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি সাধারণ সভা পন্ড

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:২০ পিএম | আপডেট : ১২:০২ এএম, ২০ নভেম্বর, ২০১৬

বগুড়া জেলা জাসদের (ইনু) জেলা কার্যালয়ে দলের সভাপতি ও এমপি রেজাউল করিম তানসেনের সাথে তার বিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতির কারণে দলের নির্ধারিত একটি সভা প- হয়ে গেছে। এমপি তানসেন এ প্রসঙ্গে নির্ধারিত সভা মুলতবি হয়েছে বললেও তার বিরোধীরা বলেছেন এমপিকে বাদ দিয়েই তারা সভা সমাপ্ত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, বিগত জাতীয় সম্মেলনে কেন্দ্রীয়ভাবে জাসদের (ইনু)-এর নেতারা দ্বিধা বিভক্ত হলে বগুড়ার অধিকাংশ নেতাকর্মী তথ্যমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সভাপতি হাসানুল হক ইনুর পক্ষ নিয়ে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করলেও এমপি তানসেন বগুড়ায় কোনো পক্ষেই তার অবস্থান পরিষ্কার করেননি। ফলে স্থানীয় নেতাকর্মীরা জেলার সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন রতনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে গত ৯ মাস ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল দুপুরে বগুড়া জেলা জাসদ কার্যালয়ে একটি সাধারণ সভা আহ্বান করে। সভার নির্ধারিত সময়ে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন জেলা সভাপতি ও এমপি রেজাউল করিম তানসেন। ফলে সভায় কে সভাপতিত্ব করবেন তা নিয়ে উপস্থিতরা দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়েন। কেউ বলেন, এমপি সাহেব নিজের দলীয় অবস্থান পরিষ্কার করতেই সভায় উপস্থিত হয়েছেন, কাজেই উনিই সভাপতিত্ব করবেন। অন্যরা বলেন, উনি (এমপি তানসেন) ৯ মাসেও নিজের অবস্থান  পরিষ্কার করেননি, তাই ইকবাল হোসেন রতনই ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করবেন। এই বিষয়ে সৃষ্ট বচসা হাতাহাতিতে রূপান্তরিত হওয়ার আগেই পুলিশ এসে দ’পক্ষের মাঝে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফলে সভায় সৃষ্ট হাঙ্গামা আর রক্তারক্তি পর্যায়ে গড়ায়নি। বেলা ২টায় জাসদ সভাপতি ও এমপি তানসেন সভাস্থল ও দলী কার্যালয় ছেড়ে বাসায় চলে যান।
জেলা জাসদের সাংগঠনিক সম্পাদক (ইনু) এ্যাড. আব্দুল লতিফ পশারী ববি এ ব্যাপারে জানান, পুলিশ প্রহরায় রেজাউল করিম তানসেন চলে যাওয়ার পর সভা শুরু হয় এবং সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। যারা দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদেও বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। একই সাথে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেনের বিষয়ে কেন্দ্রকে অবগত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় ৭৫ জন সদস্যের মধ্যে ৬৫ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। ববি আরো বলেন, দীর্ঘদিন তিনি সভা না করে এবং সাংগঠনিক কার্যক্রম না চালিয়ে নিশ্চুপ অবস্থায় ছিলেন। তাকে পরিষ্কার করতে হবে তিনি হাসানুল হক ইনু-শিরিন আখতার এই গ্রুপে আছেন নাকি আম্বিয়া গ্রুপে আছেন। জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জানান, সভা শুরুর আগেই মুলতবি করা হয়েছে। তবে কি কারণে মুলতবি করা হয়েছে এ বিষয়ে তিনি পরিষ্কার কিছু বলেননি। সভায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও তিনি জানান।
 জেলা সভাপতি ও সংসদ সদস্য রেজাউল করিম তানসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘আমার নেতা ইনু। মার্কা আমার মশাল। ১৪ দলের জোটের সাথে আছি’। আমাকে নিয়ে সভায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’
বগুড়া সদর থানার ওসি (তদন্ত) আছলাম আলী জানান, জাসদ অফিসে বিশিৃঙ্খল ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে গেলে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে বলে দেখতে পাই ।




 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ