পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধরা পড়ছে না পাচারকারী গডফাদার
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় শুক্রবার রাতে পৃথক ৩টি অভিযানে এক লাখ ছেষট্টি হাজার ৭ শত পিস ইয়াবা আটক করেছে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। যার আর্থিক মূল্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা বলে জানা গেছে। রহস্যজনক হলো তিনটি পৃথক অভিযানে এত বড় রিকভারীতে মাত্র একজন ড্রাইভার ছাড়া আর কেউ ধরা পড়েনি। সীমান্তে বার বার ইয়াবা উদ্ধার হলেও রহস্যজনক কারণে ধরা পড়ছে না পাচারকারী গডফাদার
সম্প্রতি মিয়ানমারে সেদেশের সরকারী বাহিনী ও বুডিষ্ট সন্ত্রাসীরা নির্বিচারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের হত্যা করছে। একারণে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের কড়াকড়ি রয়েছে সীমান্তে। এত কড়াকড়ি ফাঁকি দিয়ে এতগুলো ইয়াবা কি করে পাচার করে এটি অবশ্যই প্রশ্নবোধক। এছাড়াও তিনটি পৃথক অভিযানে পাচারকারী কেউ ধরা পড়ল না কেন? এটাও রহস্যজনক ব্যাপার বলে মনে করেন সচেতন মহল। তাদের মতে ইয়াবা পাচারকারীরা হয় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়েও শক্তিশালী। নতুবা আমাদের সীমান্ত রক্ষীদের ইয়াবা পাচারকারীদের ধরার কোন সামর্থই নেই।
টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, শুক্রবার রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়া এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় পাচারকারীদের ফেলে যাওয়া ব্যাগের ভেতরে ৮০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়। এসব ইয়াবার মূল্য দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা হতে পারে।
শুক্রবার রাতেই টেকনাফ স্থলবন্দর সংলগ্ন সাইরং খালের পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। পাচারকারীরা কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে একটি বস্তা ফেলে পালিয়ে যায়। ওই বস্তা থেকে ৭০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসব ইয়াবার দাম সাড়ে তিন কোটি টাকা বলে জানান বিজিবি। ইয়াবাগুলো কোস্টগার্ডের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে এগুলো ধ্বংস করা হবে। টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. মোহাম্মদ নাফিউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পৃথক আরো একটি অভিযানে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারগামী একটি বাস গাড়ির লাইটের ভেতর লুকিয়ে অভিনব কৌশলে পাচারের সময় অর্ধকোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিজিবি। এসময় যাত্রীবাহী ওই স্পেশাল সার্ভিসের ড্রাইভারকে আটক করা হয়। ১৮ নভেম্বর দিবাগত রাত ১১টার দিকে অভিযান চালানোর সময় বিজিবি ইয়াবার এই চালানটি আটক করে। আটক বাস চালক সোনা মিয়া (৩০) টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের উত্তর লেদা গ্রামের মৃত গোরা মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়কের পক্ষে উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহিল মামুন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কক্সবাজারমুখী যাত্রীবাহী স্পেশাল সার্ভিস (বাস নং-কক্সবাজার জ-১১-০১২২) দমদমিয়া বিজিবি চেকপোস্টে পৌঁছলে হাবিলদার আবুল হোসেনের নেতৃত্বে টহল দল নিয়মিত তল্লাশিকালে বাস চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পিছু ধাওয়া করে ড্রাইভারকে আটক করা হলেও সুপারভাইজার ও হেলপার পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে গাড়ি তল্লাশি করে বাসের পেছনে ব্যাক লাইটের ভেতর লুকিয়ে রাখা ১৬ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়। যার মূল্য ৫০ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে জমা রাখা হয়েছে। পরে এগুলো ধ্বংস করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।