পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয় শ্রীলঙ্কার না। তাই শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ সংকটের সাথে আমাদের দেশের উদাহরণ দেয়া অযৌক্তিক এবং বড়ই বেমানান।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত দুইদিন ব্যাপী বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ আন্তর্জাতিক সম্মেলন: 'বাস্তবায়নের সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রীর বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বগুণে দেশে অনেক উন্নত দেশ ও বিদেশী সংস্থা বিনিয়োগ করছে। তাই কোনো দেশ যদি সে দেশের অভ্যন্তরীণ পলিসির কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এবং একই অবস্থা অন্য একটি দেশের হবে এটা বলা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক এবং এরকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।
তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ মহাপরিকল্পনা। এই মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। সরকারের ডেল্টা মহাপরিকল্পনা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নেই এবং থাকবেও না। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে রুপান্তরিত করাই ডেল্টা প্ল্যানের মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী পরিকল্পনায় আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের ফলে আগামী প্রজন্ম একটি উন্নত দেশে পাবে। এই দেশ টেকসই হবে। মন্ত্রী বলেন, নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে সেদেশের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে। ডেল্টা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন। এসময় তিনি বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাইকাসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।
তাজুল ইসলাম বলেন, ডেল্টা প্ল্যান- ২১০০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডস সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত লেটার অব ইনটেন্টের মাধ্যমে ডাস সরকার জলবায়ুর প্রভাব মোকাবেলায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের রাউজান এবং যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে শতাধিক পৌরসভায় জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করা হবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। গত কয়েক বছরে মাথাপিছু আয় বেড়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে অনেক দেশ পিছিয়ে গেছে। বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হেনেছে। বিশ্বব্যাপি ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে। অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। কিন্তু আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রয়েছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি-২০৩০, ভিশন-২০৪১ সহ নানা মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে সরকার দেশ পরিচালনা করছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এসব পরিকল্পনা ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর অংশ হিসেবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে দেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। এই পরিকল্পনার দর্শন বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশ অবশ্যই বিশ্বের বুকে গর্বিত জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তিনি বলেন, সমস্যা ও চ্যালেঞ্জ সারা পৃথিবীতেই আছে। আমাদের দেশেও রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের সে প্রস্তুতি আছে বলেও জানান মন্ত্রী।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।