পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালনকালে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা থানার এসআই বিশ্বজিৎ কুমার বসু বাদী হয়ে ৯২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৮০০জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। এজাহারভুক্তদের মধ্যে ৪১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল শুক্রবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া এজাহারভুক্তদের মধ্যে বিএনপি নেতা আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুলসহ অন্যদের পলাতক দেখানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২০টি ইটের টুকরা, ১২টি কাঠের আছাড়ি ও ৫টি লোহার রড আলামত হিসেবে জব্দ দেখানো হয়েছে।
এজাহারভুক্তরা হলেন- নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, ডুমুরিয়ার থুকড়া গ্রামের উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব শেখ সরোয়ার হোসেন, বৈকালী এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, খালিশপুরের পাপিয়া আক্তার পারুল, নগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সৈয়দা রেহেনা আক্তারসহ বিভিন্ন জেলার আরো ৩৭ জন।
এজাহারভুক্তদের মধ্যে পলাতক রয়েছে- নগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা, খুলনা-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, নগর যুব দলের সভাপতি মাহাবুব হাসান পিয়ারু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রী, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল, নগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, জেলা যুব দলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েত, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পি, নগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. মজিবুর রহমানসহ নগর ও জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরো ৩৮ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত ৭০০ থেকে ৮০০ জন। আসামিদের বিরুদ্ধে পেনাল কোড এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির প্রেস ব্রিফিং
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাড. শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করে বলেন, ছাত্রলীগ ও যুব লীগ পুলিশের সহায়তায় আমাদের সমাবেশের উপর আক্রমণ চালায়। পুলিশ টিয়ারশেল ও গুলি করে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তিনি গতকাল শুক্রবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে আগেরদিন সংঘর্ষ হামলা ভাঙচুর ও সমাবেশ পণ্ড হওয়া নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, কেএমপি থেকে অনুমতি নিয়ে সমাবেশ শুরু করা হয়। সরকার শেষ মূহুর্তে এসে অসহিষ্ণু আচরণ করছে। আমাদের ওপর বিভিন্ন দমননতি চালাচ্ছে। এমনকি এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছে তাদের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে আটক করা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ৫০০ চেয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। ৪১ জন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। আমাদের উপর হামলা করে আমাদের নামে মামলা করেছে পুলিশ। আদালত খুললে তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান।
বিএনপির ১২ নেত্রী জামিনে মুক্ত
এদিকে খুলনা বিএনপির গ্রেফতারকৃত ৪১ নেতাকর্মীর মধ্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ২৯ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ ও ১২ নারী নেত্রীকে জামিনে মুক্তি দিয়েছে আদালত।
গতকাল শুক্রবার গ্রেফতারকৃত ৪১ নেতাকর্মীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক রেহেনা ঈসা, সাবেক কাউন্সিলর আনজিরা খাতুন, মুন্নি জামান, মিসেস মনি, কাওসারী জাহান মঞ্জুসহ ১২ নারী নেত্রীকে জামিন দেয় আদালত। বাকিদের জামিনে শুনানি আগামি রোববার অনুষ্ঠিত হবে।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন- অ্যাড. গাজী আব্দুল বারী, অ্যাড. মোমরেজুল ইসলাম, অ্যাড. মশিউর রহমান নান্নু, অ্যাড. তৌহিদুর রহমান তুষার, অ্যাড. আক্তার জাহান রুকু, অ্যাড. কে এম শহীদুল আলম, অ্যাড. তফসির আহমেদ চুনি, অ্যাড. কানিজ ফাতেমা আমিন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।