Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রংপুরে ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্ক নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২২, ১২:৩১ এএম

পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে রংপুরে শুরু হলো হাইটেক পার্কের নির্মাণ কাজ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে সংসদ ভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, হাইটেক পার্ক স্থাপন হলে এই এলাকার ছেলেমেয়েরা অনলাইনে কাজ করে দেশের আর্থ-সামাজিক পরিবেশের ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারবে। হাইটেক পার্ক বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে রংপুরে কর্মসংস্থান হবে প্রায় পাঁচ হাজার তরুণ-তরুণীর। হাইটেক পার্ক প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্পায়ন, তরুণদের কর্মসংস্থান এবং হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের উত্তরণ ও বিকাশে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে।

রংপুরের খলিশাকুড়িতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্কের অধীন জেলা পর্যায়ে আইটি/হাইটেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ‘ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্ক’ হচ্ছে। অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া হাইটেক পার্ক রংপুরের তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ঠিকানা। এই পার্ক বাংলাদেশকে শ্রমনির্ভর অর্থনীতি থেকে জ্ঞান- নির্ভর, উন্নত অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিউর রহমান শফিক, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হুমায়ুন কবীর, রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান ও রংপুরের পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করা হবে
রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি থেকে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে আমি ২ বছর আগে রাঙামাটিতে এসে হেডম্যান, কার্বারী, জনপ্রতিনিধি ও তিন পার্বত্য জেলার রাজাদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। এই এলাকার শান্তির জন্য তারা বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের সেনাবাহিনী যেখানে দীর্ঘকাল ধরে কাজ করছেন। তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে এবং জনসংহতি সমিতির সাথে যে শান্তি চুক্তি হয়েছিলো। সেই চুক্তির একটি শর্ত ছিলো সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করার। আমরা সেটাকে লক্ষ্য রেখে ধীরে ধীরে তিন জেলায় পরিত্যক্ত সেনা ক্যাম্পগুলোতে পুলিশ মোতায়েন করতে যাচ্ছি। লক্ষ্য একটাই আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকে। গত বুধবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে খাগড়াছড়ি ও বান্দবান জেলার বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় একথা বলেন তিনি ।

মন্ত্রী আরো বলেন, আপনারা জানেন আমরা জলদুস্য ও চরমপন্থী মুক্ত করেছি। সেই জায়গায় এখানেও আমরা শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করব। আমরা আজকে ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছি, তিন জেলায় তিনটি আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়ন আসবে। যার সদর দফতর হবে রাঙামাটি। এই তিন ব্যাটালিয়নের পুলিশ সদস্যরা ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত ক্যাম্পগুলোতে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে। আপাতত আমরা ৩০টি অস্থায়ী ক্যাম্পে পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমধাপে তিনটি ক্যাম্প বসানো হবে।

তিনি আরো বলেন, আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন, ভ‚মি কমিশন কার্যকরসহ বিভিন্ন কথা বলেছেন। আমরা সব নোট করে নিয়েছি। সবকিছু ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন হবে। যেখানে যা প্রয়োজন হয় তা করা হবে। সরকার পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর।

সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও পুর্নবাসন সর্ম্পকিত চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধি প্রিয় ওরফে সন্তু লারমা, দীপংকর তালুকদার এমপি, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আইজিপি ড. বেনজীর আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ