Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

হাজারো তরুণের অস্থায়ী রেস্টুরেন্ট এখন পরিত্যক্ত

পূর্বাচলে কমেছে দর্শনার্থীর সংখ্যা

মো. খলিল সিকদার, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ মে, ২০২২, ১২:৩১ এএম

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের কাজ চলছে পুরোদমে। ইতোমধ্যে লেক, ড্রেনেজ এবং অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো করা হয়েছে পাকা। আবার প্লটের আকার, ভবনের অনুমোদন নিয়ে দাঁড়ানো অট্টালিকা আর বিশেষ বিশেষ দফতর সেজে আছে দৃষ্টিনন্দনভাবে।

স্থানীয় শতাধিক তরুণ বিভিন্ন পয়েন্টে দর্শনার্থীদের খাবার সুবিধায় গড়ে তুলেছে অস্থায়ী রেস্টুরেন্ট। এসব রেস্টুরেন্টে কোথাও সম্মিলিত কোথাও এককভাবে বিনিয়োগ করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা। করোনার আগে পূর্বাচলে অস্থায়ী খাবার হোটেল ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও গত ২ বছরে করোনায় বন্ধ হয়ে যায় এসব হোটেল।

সরেজমিন দেখা যায়, পূর্বাচল ১ নম্বর সেক্টর এলাকা দিয়ে বয়ে চলেছে বালু নদী। এখানেই নির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম। এ সেক্টরটি রাজধানীর সন্নিকটে হওয়ায় সবচেয়ে বেশি দর্শনার্থী আসেন এখানে। আর সবচেয়ে বেশি রেস্টুরেন্ট আর দেশীয় সবজি ও ফলের বাজার এখানেই।

বালু নদীর তীরে রয়েছে শতাধিক অস্থায়ী রেস্টুরেন্ট। এরপর আছে জয়বাংলা চত্ত্বর, শহীদ ময়েজউদ্দিন চত্ত্বর, হেলিপ্যাড চত্ত্বর, মধুখালী সমু মার্কেট, ২১ নম্বর সেক্টরের লেকপাড়, ১৩ নম্বর সেক্টরের ইকো পার্ক, শীতলক্ষ্যা পাড়, পূর্বাচল রাজউক ভবনসহ অর্ধশতাধিক স্পট।

পূর্বাচলের আলমপুরের শরীফ মিয়া বলেন, করোনার পূর্বে পূর্বাচলের প্রতিটি স্পটে হাজারো দর্শনার্থীর আনাগোনা ছিলো। করোনার পর প্লট দেখার কাজ ছাড়া সাধারণ দর্শনার্থী কমে গেছে। তরুণ উদ্যোক্তা সুলপিনা এলাকার বাসিন্দা আবুল কালাম মাস্টার বলেন, করোনা পূর্ববর্তীতে হ্যালিপ্যাড রেস্টুরেন্ট থেকে ভালো আয় হয়েছিলো। কিন্তু করোনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিতে হয়। সেই সাথে অস্থায়ীভাবে বাঁশ ও ছন দিয়ে করা ঘর নষ্ট হয়ে সব শেষ হয়ে গেছে।

একইভাবে গোয়ালপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী মাসুম মিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। একই চিত্র মধুখালী সমু মার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ফারুক মিয়া বলেন, আমরা ৬ জন মিলে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় করে একটি রেস্টুরেন্ট দিয়েছিলেন। করোনার পর আর তা চালু করা যায়নি। এতোদিনে সব নষ্ট হয়ে গেছে।

একই অবস্থা স্কুল ছাত্রদের করা তারুন্যের বিজ্ঞান নামক সংগঠনের করা রেস্টুরেন্টেরও। তাদের নকশা আর গ্রামীণ কুঁড়েঘর করতে গিয়ে ১৩ লাখ টাকার বেশি খরচ হয়। সময়ের ব্যবধানে এসব এখন নষ্ট হয়ে গেছে। তরুণ উদ্যোক্তাদের দাবি, পূর্বাচলের বিভিন্ন স্পষ্টে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ যোগাযোগে বেশ কিছু সড়কের কাজ চলমান। তাই দর্শনার্থীদের আসা-যাওয়া কমে গেছে।

এসব বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি এএফএম সায়েদ বলেন, পুরো রূপগঞ্জ থানার পুলিশ ক্যাম্প পূর্বাচলেও রয়েছে। আর ক্যাম্প পুলিশ পূর্বাচলে নিয়মিত টহল দেয়। দর্শনার্থীসহ প্লট, ঠিকাদার সংশ্লিষ্টদের সার্বিক নিরাপত্তা রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ