Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

২০-৩০ বছর বয়সীদের থাইরয়েড সমস্যায় ভোগার শঙ্কা বেশি

থাইরয়েড দিবসে বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২২, ১২:০০ এএম

দেশের বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠী থাইরয়েড সমস্যায় ভুগছে। এদের অর্ধেকের বেশি জানে না, তাদের এই সমস্যা রয়েছে। এর মধ্যে ২০-৩০ বছর বয়সীদের এই থাইরয়েড সমস্যা ভোগার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। গতকাল রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান বক্তারা। বাংলাদেশ এন্ডোক্রাইন সোসাইটি (বিইএস) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিইএস’র প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীদের মধ্যে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ হারে ‘হাইপোথাইরয়েডিজম’ থাকতে পারে। এছাড়া প্রায় ৭ শতাংশ নারী ও পুরুষ সাব-ক্লিনিক্যাল ‘হাইপোথাইরয়েডিজমে’ ভুগে থাকেন। নবজাতক শিশুদেরও থাইরয়েডের হরমোন ঘাটতি জনিত সমস্যা হতে পারে। তার হার হতে পারে ১০ হাজার জীবিত নবজাতকের মধ্যে ২-৮ শতাংশ। আলোচকরা জানান, বাড়ন্ত শিশুরাও থাইরয়েড হরমোন ঘাটতিতে ভুগতে পারে। এসময় শিশুদের দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। পরবর্তী সময়ে দৈহিক বৃদ্ধির সমতা আনয়ন করা গেলেও মেধার উন্নতি করা সম্ভব হয় না। বক্তারা বলেন, থাইরয়েড সমস্যার সব ধরনকে একসঙ্গে হিসাব করলে তা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ ভাগের কাছাকাছি হবে। ভারতের অবস্থা অনেকটা এমনই। প্রাপ্তবয়স্ক নারীদের প্রায় দুই শতাংশ এবং পুরুষের প্রায় শূন্য দশমিক ২ শতাংশ হাইপারথাইরয়েডিজমে ভোগে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা সচিব সাইফুল হাসান বাদল, বিইএস প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ডা. মো. ফারুক পাঠান, বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. এহতেসামুল হক চৌধুরী, ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর এ কে আজাদ খান, ইমেরিটাস প্রফেসর ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, বিইএস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. এস এম আশরাফুজ্জামান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ