পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
দরপতন ঠেকাতে আবারও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সিকিউরিটিজ দাম কমার সীমা সর্বোচ্চ ২ শতাংশ আরোপ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নতুন এই সীমা আজ বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর করা হবে। গতকাল বুধবার বিএসইসির চেয়ারম্যান প্রফেসর শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল শেয়ারের দাম সর্বোচ্চ ২ শতাংশ থেকে সার্কিট ব্রেকার ৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছিল। তার ঠিক এক মাস ৫ দিন পর আইনের পরিবর্তন করা হলো। এর ফলে আজকের ক্লোজিং প্রাইসের ওপর ভিত্তি করে আগামীকাল সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে শেয়ারের দাম। তবে দাম বাড়ার সার্কিট ব্রেকারের সীমা সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ রয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ মার্চ পুঁজিবাজারের নেতিবাচক অবস্থা সামলাতে দাম কমার সর্বোচ্চ সীমা ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছিল। যা পরিবর্তন করে ২০ এপ্রিল ৫ শতাংশ করা হয়।
এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ পতনের ২ শতাংশ সীমা বেঁধে দিয়েছিল কমিশন। ওই বছরে ১ম ও ২য় দফায় ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর ওপর এই সীমা আরোপ করা হয়েছিল।
২০২০ সালে দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলে শেয়ার বাজারে ভয়াবহ ধস নামে। পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে ওই বছরের ১৯ মার্চ কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করেছিল। তারপর ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল প্রথম দফায় ৬৬টি ও ৩ জুন দ্বিতীয় দফায় ফ্লোর প্রাইসে থাকা বাকি ৩০ কোম্পানি থেকে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনা প্রত্যাহার করে নেয় কমিশন।
ওই সময় ফ্লোর তুলে নেওয়া কোম্পানিগুলোর শেয়ার এক দিনে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ কমতে পারবে বলে জানায় কমিশন। তবে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে আগের মতোই ১০ শতাংশ সীমা বহাল রাখে। এরপরে ১৭ জুন সব সিকিউরিটিজের ওপর স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার আরোপ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।