পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জীবন বিমা কোম্পানি ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মাস্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক প্রশাসক এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সাবেক সদস্য সুলতান উল-আবেদীন মোল্লাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মো. আবু বকর ছিদ্দিকের আদালত এ আদেশ দেন। সিএমএম আদালতের হাজতখানার ইনচার্জ পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদ ও বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রমজান আলী সরদার (রানা) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাহিদ জানান, সুলতান মোল্লা আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আইনজীবী রানা বলেন, সুলতান ডেল্টা লাইফে প্রশাসক থাকা অবস্থায় কোনো দরপত্র আহ্বান ছাড়া নিয়মবর্হিভূতভাবে ১ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ২ লাখ ১৫ হাজার মাস্ক কেনেন। অথচ ৮ লাখ টাকার বেশি মূল্যের কিছু কিনতে গেলে পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন লাগে ও জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়। উনি এর কোনোটিই না করে ক্ষমতার দাপটে তার নিকট আত্মীয়কে কাজটা দিয়ে দেন। তিনি বলেন, ক্রয় করা মাস্কের মধ্যে বিভিন্ন জোনাল অফিসে ১৯ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়। বাকি ১ লাখ ৯৬ হাজার পিস মাস্কের কোনো হদিস মেলেনি। মূলত এটা তিনি আত্মসাত করেছেন। আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে সুলতান মোল্লাকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। গতকাল এ মামলায় অন্যান্য আসামিদের অসুস্থ্তার কারণ দেখিয়ে তাদের আইনজীবী সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তবে আদালত তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট দেন।
জানা যায়, ডেল্টা লাইফ ২০২১ সালের মে মাসে লাজিম মিডিয়া থেকে ২ লাখ ১৫ হাজার মাস্ক কেনে। প্রতিটি ৫০ টাকা করে এই মাস্কের মূল্য ধরা হয় এক কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যে সময় এই মাস্ক কেনা হয়, সে সময় ডেল্টা লাইফে প্রশাসক হিসেবে ছিলেন আইডিআরএর সাবেক সদস্য সুলতান মোল্লা। এই মাস্ক অসৎ উদ্দেশে ব্যক্তিগত লাভের জন্য সুলতান মোল্লার নির্দেশে কেনা হয়েছে বলে মহানগর মুখ্য হাকিমের আদালতে মামলা করেন ডেল্টা লাইফের পরিচালক জেয়াদ হোসেন। সুলতান মোল্লার সঙ্গে ডেল্টা লাইফের ডিএমডি মনজুরে মাওলা, ইভিপি কামরুল হক এবং এম হাফিজুর রহমান খান এ কার্যক্রমে জড়িত বলে অভিযোগ করেন এই পরিচালক। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, আইডিআরএ’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পরিষদের কাছে প্রথম দুই কোটি টাকা উৎকোচ দাবি করেন। পরিচলনা পরিষদ অপারগতা প্রকাশ করলে পরে এক কোটি টাকা এবং সর্বশেষ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এই টাকা না দেয়ায় ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সুলতান মোল্লাকে প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে সুলতান মোল্লা, মো. কামরুল হক এবং মো. মনজুরে মাওলার বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪০৮/৪২০/৩৪ ধারায় অপরাধ সত্য প্রমাণিত হয়েছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
এই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর ছিদ্দিকের আদালত এই আসামিদের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন। সেই সঙ্গে ২৩ মে সমন জারির প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও উভয় পক্ষের উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।