পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃক্ষরোপণে বিশেষ অবদান রাখায় প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারের জন্য ৭ ব্যক্তি ও ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে গতকাল মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২০’ পদক সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় মনোনীতদের বাছাই করা হয়। উপজেলা, জেলা, বিভাগ পর্যায়ে বিচারের পর জাতীয় কমিটি চূড়ান্তভাবে এ পুরস্কারের মনোনয়ন দেয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) এবং পদক মূল্যায়ন জাতীয় কমিটির সদস্য-সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার বিদ্যালয় অথবা সিনিয়র মাদরাসা পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ভোলার কুলসুম রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নড়াইল সদরের চালিতাতলা সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ও কে টি এম মাধ্যমিক বিদ্যালয় মনোনীত হয়েছে।
কলেজ অথবা বিশ্ববিদ্যালয় শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের শাহ নেয়াামতুল্লাহ কলেজ ও ঝিনাইদহের এস ডি ডিগ্রি কলেজ মনোনীত হয়েছে। স্থানীয় সরকার পপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে চট্টগ্রাম উপজেলা পরিষদ। অধিদফতর, পরিদফতর, সেক্টর করপোরেশন ও প্রতিষ্ঠান শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে যথাক্রমে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল শহীদ সালাউদ্দিন সেনানিবাস, খুলনার শুন শিং সিমেন্ট মিলস এবং কুমিল্লার পানি উন্নয়ন বোর্ড। এনজিও, ক্লাব ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে নওগাঁর স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন ‘মানবসেবা’।
ব্যক্তিগত পর্যায়ে বৃক্ষরোপণ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে শেরপুরের মো. হজরত আলী আকন্দ, চুয়াডাঙ্গার আদিনা মালিক ও চট্টগ্রামের রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী মনোনীত হয়েছেন। ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে ময়মনসিংহের ‘আধুনিক নার্সারি’, বগুড়ার ‘টিএমএসএস নার্সারী’ এবং টাঙ্গাইলের ‘হানিফ নার্সারী’ মনোনীত হয়েছে।
‘বাড়ির ছাদে বাগান সৃজন’ শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে গাজীপুরের মনিরা সুলতানা, ময়মনসিংহের কবিতা নাসরিন সৃষ্টি ও রাজশাহীর সাহানা নাসরিন মনোনীত হয়েছেন। ‘বন বিভাগ কর্তৃক সৃজিত বাগান’ শ্রেণিতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরস্কারের জন্য যথাক্রমে রাজশাহী সামাজিক বন বিভাগের আওতাধীন ধামইরহাট বিট ও পটুয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগের আওতাধীন চর আগস্তি ফরেস্ট ক্যাম্প মনোনীত হয়েছে। ‘বৃক্ষ গবেষণা, সংরক্ষণ, উদ্ভাবন’ শ্রেণিতে প্রথম পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন গাজীপুরের মো. তাসলিমুল হক। উল্লেখ্য ১৯৯৩ সাল থেকে চালু হওয়া এ পুরস্কারে প্রথম হলে ৩০ হাজার, দ্বিতীয় ২০ হাজার ও তৃতীয় হলে ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।