প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : আমি এক লোক থেকে ভিসা নিয়ে বিদেশ এসেছি। আসার আগে আমাকে যে পরিমান বেতন এবং কাজের সময় বলা হয়েছিল তার কোনটাই ঠিক নেই। কথার চেয়ে বেতন কম এবং ডিউটি বেশি করাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি এবং আমাকে যে বেতন কম দিচ্ছে সেই বাড়তি টাকা মালিকের কাছে পাওনা থাকব কিনা? হাশরের দিন সেটার হিসাব হবে কি? যেহেতু অনেক টাকা খরচ করে গেছি তাই চলেও আসতে পারছিনা, এক প্রকার বাধ্য হয়ে কাজ করছি।
উত্তর : এখানে ওয়াদা ভঙ্গের একটা বিষয় রয়েছে। এটি কি মালিক করেছিল না দালাল? যদি দালাল কথা বলে থাকে, তাহলে টাকা কম পাওয়া ও বাড়তি শ্রম দেওয়ার দায় তার ওপরই বর্তাবে। এবং হাশরের দিন আপনি তার কাছে পাওনাদার হবেন। আর যদি মালিক কথা ঘুরিয়ে থাকে, তাহলে মালিক দায়ী এবং হাশরের দিন এসবের বিনিময় তাকে দিতেই হবে। আপনি টাকা খরচ করে ফেলেছেন এবং এখনই ফিরে আসতে পারছেন না, অতএব ধৈর্যধারণ করে চাকরী করতে থাকুন। অন্য কোনো ব্যবস্থার জন্য দোয়া করতে থাকুন। এরদ্বারা অল্পেই আপনার বরকত হবে, গোনাহ মাফ হবে, পরকালে বদলা পাবেন, আর বিরক্ত হয়ে কাজ ছেড়ে দিলে পুরোটাই ক্ষতি। এসব প্রতারণা যেই করে থাকুক বান্দাহর হক নষ্ট করার শাস্তি সে পাবে।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।