পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পুনর্গঠন চান আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির আমানতকারীরা। পাশাপাশি পিপলস লিজিং তদারকিতে ব্যর্থতার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিচার ও পিপলস লিজিংয়ের অন্যতম মালিক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে দেশে ফিরিয়ে এনে টাকা উদ্ধারের দাবি জানানো হয়েছে। টাকা ফেরত পেতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন তারা। রোববার (২২ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে ব্যক্তি ওক্ষুদ্র ছয় হাজার আমানতকারীর পক্ষে প্রধান সমন্বয়ক ও কনভেনর আতিকুর রহমান আতিক দাবিগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, পিপলস লিজিংয়ের উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের লুটপাট, অনিয়ম এবং বাংলাদেশ ব্যাংক পিপলস লিজিংকে সঠিক নজরদারি ও তদারকি না করায় অসাধু চক্র আমাদেরকে সর্বস্বান্ত করে দিয়েছে। চক্রান্তকারীরা বিভিন্ন কৌশলে, নামে-বেনামে আমানতকারীদের অর্থ বাগিয়ে নিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা প্রতিষ্ঠানটিকে অবসায়নের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় কর্মকর্তা ২০১৫ সালের পর থেকে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে এই প্রতিষ্ঠানের আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নিয়োজিত ছিলেন। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক এই অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমানতকারীরাও কোনো অর্থ পাননি। তদারকির ব্যর্থতার জন্য গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি আমরা। লিখিত বক্তব্যে আতিকুর রহমান আতিক বলেন, হাইকোর্টের বিচারক পিপলস লিজিংকে অবসায়ন না করে রিকনস্ট্রাকশন করে আমানতকারীদের টাকা ফেরতের আদেশ দিয়েছেন। কিন্তু ৯ মাস পার হলেও আমানতকারীরা সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পাননি।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমাদের নিঃস্ব অসহায় জীবনের কথা বিবেচনা করে যেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইনাল সার্ভিসেস কোম্পানিতে আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ দ্রুত ফেরত পেতে পারি সে জন্য আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। একইসঙ্গে অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত পি কে হালদারসহ দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিতে ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র ছয় হাজার আমানতকারীর পক্ষে সাধারণ সম্পাদক রানা ঘোষসহ অন্য আমানতকারীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।