Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ট্রাম্পেকে রাষ্ট্রনায়ক হতে হবে

মোহাম্মদ আবু তাহের | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। তার বিজয় ঐতিহাসিক। এ বিজয় অভাবনীয়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নিতে তার অবদান রয়েছে। বিভিন্ন জরিপে হিলারির বিজয়ের সম্ভাবনাই বেশি ছিল। অথচ সকল জরিপের ফলাফল পাল্টে দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পই বিজয়ের মালা গলায় পরেছেন। যে আমেরিকা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য সব সময় সোচ্চার সে আমেরিকাই একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেনি। হিলারি ক্লিনটন প্রায় দুই লাখ পপুলার ভোট বেশি পেয়েও নির্বাচনের পদ্ধতিগত ব্যবস্থার কারণে হেরে গেছেন।
ট্রাম্প একজন খ্যাতিমান ব্যবসায়ী। তিনি বড় রাজনীতিবিদ না হলেও জনগণের মনের কথা বুঝতে পেরেছেন বলেই মনে হয়। যুক্তরাষ্ট্র এমনিতেই একটি মহাশক্তিশালী দেশ। তিনি এ দেশকে আরও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করায় যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ তাকে আস্থায় এনে ব্যালটের শক্তি প্রয়োগ করে নীরব বিপ্লব সাধিত করেছে।  হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে তার এ বিজয় দেখিয়ে দিল আমেরিকান গণতন্ত্র অনেক বেশি ক্রিয়াশীল। ডোনাল্ড ট্রাম্প সব সময় বলেছেন, ‘আমেরিকা প্রথম’ এবং তার সকল কর্মকান্ড ‘আমেরিকা প্রথম’-কে কেন্দ্র করেই পরিচালিত হবে। ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন, নির্বাচনে জিতলে মেক্সিকো থেকে অভিবাসী আসা বন্ধ করার জন্য সীমান্ত দেয়াল তৈরি করবেন, হিলারিকে জেলে পাঠাবেন। নারী ও মুসলিমদের এবং অভিবাসীদের নিয়ে মন্তব্যের কারণে তাকে তোপের মুখে পড়তে হয়েছিল। নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্পের দেয়া বক্তব্যের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসী, নারী, মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ন্যায়সঙ্গত আচরণ না হওয়ার আশঙ্কার কারণেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরও সহিংসতা দেখা গেল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সহিংস বিক্ষোভ আগে কখনো দেখা যায়নি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল করে নতুন স্বাস্থ্যসেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। যদিও এ ঘোষণা থেকে বর্তমানে আংশিক সরে এসেছেন। অপেক্ষাকৃত উচ্চ আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে আয়কর কমিয়ে দেয়ার ঘোষণাও করেছেন, কিন্তু কোন ধরনের স্বাস্থ্যসেবা ও আয়কর ব্যবস্থা চালু করা হবে এর কোনো ব্যাখ্যা দেননি ট্রাম্প। এ কারণে মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগরিকদের মাঝে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বিদ্যমান স্বাস্থ্য সেবা ‘ওবামা কেয়ার’-এ দুই কোটি অতি সাধারণ মানুষ বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পায়, মধ্যম আয়ের মানুষ সেই সুযোগ-সুবিধা পূর্ণাঙ্গভাবে পায় না। অথচ ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর তার প্রথম বিজয় ভাষণে যা বলেছেন তাতে তাকে অন্যরকম এক মানুষ হিসেবে মনে হতে পারে। তিনি তার বিজয়কে ঐতিহাসিক উল্লেখ করে সবাইকে ধন্যবাদ জানান। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যে বিভক্তিগুলোকে সামনে এনেছিলেন বিজয়ের পর তিনি সেদিকে না গিয়ে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে শীর্ষে রাখব। তিনি সকল বিভক্তি ভুলে মার্কিনিদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিলারিকে উদ্দেশ করে তিনি বলেছেন, হিলারি ক্লিনটন অনেক দিন ধরে পরিশ্রম করেছেন। দেশের জন্য তার অবদান আমাদের ঋণী করেছে। ট্রাম্পের এ মন্তব্য প্রশংসনীয়। মার্কিনিদের প্রতি ঐক্যের ডাক দিয়ে তিনি বলেছেন, এখন বিরোধ নয়, আমাদের জন্য ঐক্যের সময়। আমি সব আমেরিকানের প্রেসিডেন্ট হব। এটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অন্য দেশের সাথেও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক খুবই ভালো থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। হিলারি ক্লিনটন তার সমর্থকদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের দেশ আমাদের ধারণার চেয়েও অনেক বেশি বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের উচিত হবে ট্রাম্পকে দেশ পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া। তিনি আরও বলেন, আমি ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছি এবং একসঙ্গে কাজ করারও প্রস্তাব দিয়েছি। আশা করি, তিনি সব আমেরিকানের জন্য একজন সফল প্রেসিডেন্ট হবেন। হিলারির এই বক্তব্যে নিঃসন্দেহে তার সত্যিকারের দেশপ্রেম ও অসাধারণ সৌজন্যবোধ ও ঔদার্য্যরে পরিচয় পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে বিখ্যাত মনীষী চার্চিলের একটি কথা এখানে বেশ প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি, ‘ম্যাগনানিমিটি ইন ভিক্টরি অ্যান্ড ডিফারেন্স ইন ডিফিট’ অর্থাৎ জয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে উদার আর পরাজয়ের ক্ষেত্রে থাকতে হবে ভ্রƒক্ষেপহীন। বিজয় হলে মানসিকতা থাকতে হবে উদারতাপূর্ণ এবং পরাজয়ে ভেঙে পড়লে চলবে না।
আমেরিকান অনেক মানুষের কাছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত। বিশ্বের অনেক মানুষের কাছে ছিল অকল্পনীয়। যে কারণে শিকাগো, সানফ্রান্সিসকো, ক্যানসাস সিটিসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবকটি অঙ্গরাজ্যেই তার বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় বিক্ষোভকারীরা আলাদা হওয়ারও দাবিতে বিক্ষোভ করেছে। তারা স্বাধীনতা চেয়েছে। কোনো কোনো অঙ্গরাজ্যে বিক্ষোভ সহিংস আকার ধারণ করেছে। আমরা মনে করি, আমেরিকার জনগণকে নির্বাচনী ফল মানা উচিত। আমেরিকার মানুষকে বুঝতে হবে ডোনাল্ড ট্রম্পের এ বিজয় আমেরিকার বিদ্যমান গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিজয়। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প বিপুল সংখ্যক মানুষের ভোট পেয়েই নির্বাচিত হয়েছেন। নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে যদি কাজ করার জন্য সহযোগিতা না করা হয় তিনি কীভাবে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করবেন। তিনি যদি তার নির্বাচনের পূর্বের বিভক্তি সৃষ্টির ইঙ্গিতবাহী বক্তব্যসমূহকে কার্যকর করার বা বাস্তবায়ন করার জন্য সচেষ্ট হন তাহলেই কেবল আমেরিকার জনগণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলন করতে পারে। ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারের সময় যা যা বলেছেন তার ভিত্তিতেই সব কিছু করেন কিনা সেটিই হওয়া উচিত মার্কিনিদের দেখার বিষয়, বিবেচনার বিষয়। নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্প কথায় ও আচরণে সংযম প্রদর্শন করেছেন। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে সবাইকে নিয়েই দায়িত্ব পালন করারও অঙ্গীকার করেছেন। পৃথিবীর মানুষ আশা করবে, বিভেদ সৃষ্টি না করে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে ঐক্য, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করবে। ট্রাম্পকেও ধর্ম-বর্ণ-অভিবাসী নির্বিশেষে সকল আমেরিকান নাগরিকের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাকে স্মরণ রাখতে হবে, অভিবাসীদের কঠোর পরিশ্রম ও মেধার কারণেই বর্তমান আমেরিকা গ্রেট আমেরিকা হয়েছে। অভিবাসনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শতবার চিন্তাভাবনা করতে হবে। কেননা আমেরিকাকে বলা হয় ‘Land of immigrants’। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যাই বলেছেন এখন পরিস্থিতি ভিন্ন রকম। এখন তিনি রাষ্ট্রনায়ক। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একবার বলেছিলেন, যদি আমাদের পরিস্থিতি নতুন থাকে অবশ্যই আমাদের ভাবতে হবে নতুন করে। তখনই আমরা আমাদের দেশকে বাঁচাতে পারব। আমেরিকার গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে হলে নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে নতুন করেই ভাবতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতি থেকে অন্তত তাই প্রতীয়মান হয়। নির্বাচনের পূর্বে তিনি যে বক্তব্য রেখেছেন সে বক্তব্য হলো একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে। কিন্তু এখন থেকে তার বক্তব্য হবে রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট টমাস জেফারসন বলেছিলেন, ‘A politician thinks for the next election, but a statesman thinks for next generation..’  রাষ্ট্রনায়ক ট্রাম্প তার নির্বাচনী অঙ্গীকার থেকে সরে আসা শুরু করেছেন। এটা ইতিবাচক লক্ষণ জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ভোটের আগে নানা বিষয়ে হুমকি দিলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প সেগুলোর বিষয়ে নমনীয় হবেন। বান কি মুন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছেন, ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি’ থেকে সরে আসার যে ঘোষণা ট্রাম্প দিয়েছেন তা থেকেও তিনি সরে আসবেন।
সকল মানুষের মানবাধিকার রক্ষায় আমেরিকার মানুষকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছে। ধর্ম-বর্ণ, সাদা-কালো সকল মানুষই সমান মর্যাদার অধিকারী হয়ে জন্মগ্রহণ করেন। জন্ম-বর্ণ-গোত্র-ধর্ম এর ভিত্তিতে বৈষম্যকে অপরাধ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষের অধিকার আদায়ের জীবন্ত কিংবদন্তি নেতা মার্টিন লুথার কিং আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনে আত্মনিয়োগ করে আত্মদানের মাধ্যমে দেশ ও জাতিকে গৌরবান্বিত করে তিনি অমর হয়ে আছেন। পঞ্চাশের দশকেও আমেরিকার কিছু কিছু অঙ্গরাজ্যে পাবলিক বাসে কালোদের জন্য পেছনের সারিতে আলাদাভাবে বসার ব্যবস্থা ছিল। কালোদের জন্য আলাদা স্কুলের ব্যবস্থা ছিল। ব্যাংকে বা দোকানেও আলাদা লাইনের ব্যবস্থা ছিল। মার্টিন লুথার কিং এর সংগ্রামের ফসল সিভিল রাইটস আইন বিদ্যমান রয়েছে আমেরিকায়। এখন আমেরিকায় বর্ণবাদকে উসকে দেয়ার সুযোগ নেই। বর্ণবাদী হওয়া আইন দ্বারা বারিত। আমেরিকার মানুষ পরিবর্তন চায়। আমেরিকার মানুষ কালো মানুষকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। পরিবর্তনের স্লোগানকে আস্থায় এনে বারাক ওবামাকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করে তারা বিস্ময়কর পরিবর্তন এনেছিলেন। এবার তারা ধনকুবের ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে পৃথিবীতে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার প্রায় পুরো সময়ই অভিবাসনবিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন। ট্রাম্পের লাখ লাখ অভিবাসীকে বহিষ্কারের ঘোষণায় শান্তিপ্রিয় অভিবাসীগণ উদ্বিগ্ন আছেন, এটি স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যায়। অভিবাসীগণের নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে ট্রাম্পেরই নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করি। আসলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে জনগণই সকল ক্ষমতার মালিক, জনগণই রাজা। জর্জ বার্নাডশ এর মতে, গণতন্ত্র এমন একটি কলাকৌশল যা নিশ্চিত করে আমরা যা চাইব তার চেয়ে ভালোভাবে আমরা শাসিত হব না। মাও সেতুংও বলেছিলেন, খারাপ জনগণ খারাপ নেতা তৈরি করে। এর মানে হলো যে জনগণ যে ধরনের নেতা পাওয়ার যোগ্য তারা সেই নেতাই পেয়ে থাকে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সকল অনুষ্ঠানেই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রচ- আত্মবিশ্বাসী, আত্মপ্রত্যয়ী এবং জয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত দেখা গেছে। এ প্রসঙ্গে ব্রাজিলিয়ান খ্যাতিমান লেখক পাওলো কোয়েলুর একটি উক্তি প্রণিধানযোগ্য বলে মনে করি ‘When a person really desire something all the universe conspire that person to realize his dream’। একই সঙ্গে প্রত্যাশা করি, পৃথিবীর মানুষের শান্তি, স্তিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার রক্ষার ব্যাপারে ডোনাল্ড ট্রাম্প থাকবেন উচ্চকণ্ঠ।
লেখক : ব্যাংকার ও কলামিস্ট এবং সভাপতি ব্যাংক অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, মৌলভীবাজার জেলা কমিটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন