পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন নির্বাচন কমিশন কীভাবে গঠিত হবে, সেই কমিশনের অধীনে কীভাবে আগামী নির্বাচন হবে- সে বিষয়ে বিএনপির ১৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেছেন দলটির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের আহ্বান জানান তিনি। সব দলের ঐক্যের ভিত্তিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের খুঁজে বের করতে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি গঠনেরও কথা বলেন তিনি। বেগম খালেদা জিয়া বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সৎ, সাহসী, অবাধ ও সুষ্ঠু স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের বিকল্প নেই। এ ছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনের যোগ্যতার কথাও বর্ণনা করেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন খালেদা জিয়া এই প্রস্তাব তুলে ধরেন। এই প্রস্তাবের শিরোনাম ছিলো- ‘নির্বাচন কমিশন গঠন এবং শক্তিশালীকরণ: বিএনপির প্রস্তবাবলী।’ একজন নারীসহ ৪ জন কমিশনার নিয়োগের প্রস্তাব করে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, এ ক্ষেত্রে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য নির্বাচন কমিশনারদের হতে হবে সর্বজন শ্রদ্ধেয়, সৎ, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও দলনিরপেক্ষ। বাছাই কমিটির কাছে নিবন্ধিত সব রাজনৈতিক দল অথবা স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলো ২ জন করে নাম প্রস্তাব করতে পারবে। বাছাই কমিটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবে। তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের পর কেউ যদি দায়িত্ব পালন করতে অসম্মতি প্রকাশ করেন, তবে একই প্রক্রিয়ায় আবারও বাছাই করতে হবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়।
বিএনপির ভাষায় ‘সরকারের আজ্ঞাবহ’ কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ফেব্রুয়ারিতে। এরপর যে নির্বাচন কমিশন হবে তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে।
২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। এবারও সেভাবেই প্রেসিডেন্ট নতুন কমিশন করে দিনে বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ইতোধ্যে জানিয়েছেন। কাজী রকিব নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের অধীনে অধিকাংশ নির্বাচনেই অংশ নেয়নি বিএনপি। দলটি সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেগম জিয়া বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত আখ্যায়িত করেন এবং বলেন বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোট দিতে না পেরে জনগণ ক্ষুব্ধ। দীর্ঘ বক্তব্যের বক্তব্যের শুরুতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের ন্যায্য ও সাংবিধানিক আকাক্সক্ষা পুরণের লক্ষ্যে বিএনপি নির্বাচন কমিশন গঠন, শক্তিশালীকরণ ও নির্বাচনকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং প্রতিষ্ঠাগুলোর নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতির উদ্দেশে আমি সুপারিশ উপস্থাপন করছি। সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।
তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সষ্ঠু নির্বাচন জনগণ চায়, যেখানে তারা নির্বিঘেœ ভোট দিতে পারবেন এবং তার ফলাফল কেউ বদলে দিতে পারবে না। আর এ জন্য একটি ‘স্বাধীন ও শক্তিশালী’ নির্বাচন কমিশন গঠনের ‘বিকল্প নেই’ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ছাড়াও প্রর্ধাাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের যোগ্যতা কেমন হওয়া উচিৎ- সে বিষয়ে নিজের প্রস্তাব তিনি তুলে ধরেন।
নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রাথমিক পর্যায়ে সংলাপের বিষয়টি তুলে ধরে বেগম খালেদা জিয়া বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়া ও পদ্ধতি নিরূপনের জন্য সকল নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয় সংসদ থেকে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সকল রাজনৈতিক দলের মহাসচিব অথবা সাধারণ সম্পাদক কিংবা মনোনীত প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠক করবেন। দেশে যেহেতু এই মুহূর্তে ২টি প্রধান রাজনৈতিক জোট (বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট) বিদ্যমান সেহেতু এই ২ জোটের পক্ষ থেকে একজন করে মূল প্রতিনিধি এবং তাকে সহায়তাদানকারী আরো ২ জন প্রতিনিধি উপস্থিত থাকতে পারবেন। প্রেসিডেন্ট নাগরিক সমাজের মধ্যহতে সৎ যোগ্য ও দলনিরপেক্ষ প্রতিনিধিদেরকেও আলোচনায় যুক্ত করতে পারেন।
প্রেসিডেন্টের সাথে ওইসব সংলাপের বিষয়বস্তু প্রেসিডেন্টে কার্যালয় সর্বসাধারণের অবগতির জন্য প্রকাশ করবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন কমিশন গঠনে কিভাবে প্রেসিডেন্ট বাছাই কমিটি গঠন করবেন, তার প্রস্তাবও দেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট নিবন্ধিত রাজনেতিক দলসমূহ, স্বাধীনতার পর প্রথম সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে একটি বাছাই কমিটি গঠন করবেন।
প্রেসিডেন্ট সর্বজন শ্রদ্ধেয় সৎ, নিরপেক্ষ, অভিজ্ঞ, প্রাজ্ঞ এবং নৈতিকতা ও ব্যক্তিত্বসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে ৫ সদস্যের বাছাই কমিটি করবেন। এ কমিটির আহবায়ক হবে অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মক্ষম একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি (জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে) যিনি বির্তকিত নন এবং অবসরের পর সরকারের কোনো লাভজনক পদে ছিলেন না এমন ব্যক্তি।
৪ সদস্য হচ্ছেন- আপীল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, সরকারের অবসরপ্রাপ্ত সৎ ও দল নিরপেক্ষ সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সৎ ও দল নিরপেক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক অথবা দল নিরপেক্ষ শ্রদ্বেয় ১জন বিশিষ্ট নাগরিক এবং সর্বজন শ্রদ্বেয় দল নিরপেক্ষ দক্ষ সিনিয়র নাগরিক।
এই বাছাই কমিটি দুইজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দুই এবং কমিশনার পদে ৮ জন সৎ, দলনিরপেক্ষ, মেধাবী, দক্ষ, বির্তকিত নন এমন ব্যক্তিদের সুপারিশ করবেন প্রেসিডেন্টের কাছে। সেই তালিকা থেকে প্রেসিডেন্ট একজন প্রধান বিচারপতি ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দেবেন। নতুন নির্বাচন কমিশনের সকলের সম্পদের হিসাব বিবরণী জনসমক্ষে প্রকাশের ব্যবস্থা নেবেন প্রেসিডেন্ট।
এই প্রস্তাবাবলীতে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে গণপ্রতিনিধিত্ব আইন (আরপিও) এর ৫টি ধারা সংশোধনের কথাও বলেন বেগম খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, বাছাই কমিটি সব রাজনৈতিক দলের অভিন্ন প্রস্তাবের ভিত্তিতে জেলা জজের মর্যাদাসম্পন্ন, ন্যূনতম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদাসম্পন্ন সাবেক সেনা কর্মকর্তা, সিনিয়র আইনজীবী, বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্য থেকে আটজনকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে মনোনীত করবে। অবসরপ্রাপ্ত মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাজ করেছেন এমন কাউকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে মনোনীত করা যাবে না। বাছাই কমিটির প্রস্তাবিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দুজনের মধ্যে একজন এবং নির্বাচন কমিশনার পদে ৮ জন থেকে চারজনকে প্রেসিডেন্ট চূড়ান্ত করবেন।
নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সচিবালয় গঠন, কমিশনের নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ, কমিশনের আর্থিক স্বাধীনতা, দলীয় মনোভাবাপন্ন নির্বাচনী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারণ, নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণার পর থেকে নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ পর্যন্ত সরকারের স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার, শিক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা, পররাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখা, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের প্রশিক্ষণ প্রভৃতি বিষয় সুপারিশ করা হয় বিএনপির এই প্রস্তাবনায়।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও নতুন ভোটার তালিকা নিবন্ধীকরণ যোগ্য সকল নাগরিক, রাজনৈতিক নেতা-কর্মী, কারাবন্দি ও নানা মামলায় যুক্ত ব্যক্তিদের নেতা-কর্মীদের ভোটার করার বিষয়ে খালেদা জিয়া তার প্রস্তাবে সুপারিশ তুলে ধরেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন তার প্রস্তাবে নির্বাচনের সময়ে প্রতিরক্ষাবাহিনী মোতায়েন ও তাদের ম্যাজিস্টেরিয়াল ক্ষমতা প্রদানের কথাও বলেন।
১৩ দফা প্রস্তাবে দেশ-বিদেশী পর্যবেক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সুপারিশ দেয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার ন্যূনতম তিন বছরের পূর্বে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক সংস্থাকে দেশের প্রচলিত আইন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্বারা নিবন্ধিত হতে হবে। রাজনৈতিক দলের প্রকাশ্যে আনুগত্যপোষণকারী কোনো প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষক করা যাবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, তফসিল ঘোষণার পর মাঠ প্রশাসনে বদলির এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের। বিগত পাঁচ বছরে যে যে কর্মকর্তা জেলা ও উপজেলায় কাজ করেছেন তাদের নতুন এলাকায় বদলি করতে হবে। নির্বাচন কমিশন একটি কমিটি গঠন করবে, যারা ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেছে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে পারবে।
খালেদা জিয়া বলেন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী কিংবা দলের প্রতি আনুগত্য প্রকাশকারী ব্যক্তি নির্বাচন পর্যবেক্ষক হতে পারবেন না। নির্বাচনী আইন ভঙ্গের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পোলিং এজেন্টদের প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন প্রতিরক্ষাবাহিনীকে বিচারিক ক্ষমতা প্রদান করবে। সেই সঙ্গে নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তাদের বিচারিক ক্ষমতা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের আর্থিক স্বাধীনতা থাকতে হবে, নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। ভোটগ্রহণের সময় ব্যালট বাক্স পরিপূর্ণ হয়ে গেলে তা পোলিং বুথেই রাখতে হবে। ভোট গ্রহণের পর খালি ব্যালট বাক্স যদি থাকে তা নিরাপদে রাখতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, নির্বাচন কমিশনকে অধিকতর শক্তিশালীকরণের জন্য বিধিবিধান ও আরপিও সংস্কার করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের রূপরেখা অবশ্যই জাতির সামনে প্রকাশ করা হবে। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করতে হবে। নির্বাচনের সময় কয়েকটি মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কাজ করবে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল নোমান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আব্দুুল মান্নান, শামসুজ্জামান দুদু, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, মে. জে. (অব.) মাহমুদুল হাসান, খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মীর নাসির, রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, মসিউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, এ এস এম আব্দুুল হালিম, ইসমাইল জবিউল্লাহ, এম আব্দুল কাইয়ুম, অধ্যাপিকা সাহিদা রফিক, এডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান, এ জে মোহাম্মদ আলী, হাবিবুর রহমান, আতাউর রহমান ঢালী, নাজমুল হক নান্নু, অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, আনহ আখতার হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান উপস্থিত ছিলেন।
২০ দলীয় জোটের শরিক দলের মধ্যে ড. অলি আহমেদ, টিআই ফজলে রাব্বী চৌধুরী, বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, ইসলামী ঐক্যজোটের এম এ রকীব, শফিউল আলম প্রধান, খন্দকার গোলাম মূর্তজা, ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এএইচএম কামরুজ্জামান খাঁন, ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জেবেল রহমান গানি, আজহারুল ইসলাম, মহিউদ্দিন ইকরাম, সাঈদ আহমেদ, গরীবে নেওয়াজ, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া ছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপিকা এজেডএন তাহমিদা বেগম, অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান, অধ্যাপিকা দিলারা চৌধুরী, সাংবাদিক মাহবুবউল্লাহ, এডভোকেট এলিনা খান, সাবেক নির্বাচন কমিশনের সচিব আব্দুুর রশীদ প্রমূখ।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, শ্রীলংকাসহ ১০টি দেশের কুটনীতিকরাও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।