পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যার পর এবার দেশের উত্তরাঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভারত থেকে আসা ঢল আর টানা ভারি বর্ষণে পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ধলেশ্বরীসহ দেশের প্রধান প্রধান প্রায় সব নদীর পানি বাড়ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতেও বন্যার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। নদী গবেষকরা বলছেন, নদীগুলোর নাব্য সঙ্কটের ফলে পানি ধারণক্ষমতা অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় অল্প ঢল ও বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহচ্ছেন। সেখানে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
এদিকে গত দুদিনে পদ্মা ও যমুনার পানি বেড়েছে ১০০ সেন্টিমিটার। ফলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। জামালপুরে উজানের ঢলে বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে। যমুনার পানি বৃদ্ধির ফলে সিরাজগঞ্জে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনির হাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর এসব জেলার নি¤œাঞ্চল ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ ১০৯টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৮১টি স্টেশনে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম জেলায় আগামী দু’একদিনে আরও অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এতে এই জেলাগুলো খুব স্বল্প মেয়াদে বন্যার কবলে পড়ার আশঙ্কা আছে।
পরিবেশ বঁচাও আন্দোলনের (পবা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামিল বলেন, ভারতীয় ঢল ও বৃষ্টির ফলে যে পানিটা আসছে তা এ সময়ে স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রায় সব নদ-নদী এখন দখল ও দূষণে প্রায় মরে গেছে। নব্য সঙ্কটে এসব নদীর পানির ধারণ ক্ষমতা অতীতের চেয়ে অর্ধেকেরও কম। তাই এখন সামন্য ঢল ও বৃষ্টি হলেই নদী উপচে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। একই করণে সিলেটে এই বন্যা। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে দ্রুত নদীগুলো ড্রেজিং করে পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।