পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি এবার আর আওয়ামী লীগের টোপে পা দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নানা রকমের ফন্দি, নানা রকমের কা-কারখানা-কৌশল করেছে। বার বার জনগণকে ধোঁকা দেওয়া যায়, বার বার প্রতারণা করা যায়, বিএনপিকেও হয়ত বার বার টোপে ফেলা যায়। এবার সেই টোপে পা দেবে না বিএনপি। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতা নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শিগগিরই বিএনপিকে সংলাপে আমন্ত্রণ জানানো হবে- প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ড. মোশাররফ বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার। এই নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপে অংশ করার বিএনপির প্রশ্নই ওঠে না। এই কমিশন সংলাপের আহ্বান করলেই কী, না করলেই কী। বিএনপি এই ব্যাপারে কর্ণপাতও করে না, দুই পয়সার দামও দেয় না। প্রশ্ন্ই উঠে না তাদের কথা বলার।
তিনি বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে, এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে তার অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না। এই সরকার যখন এই নির্বাচন কমিশন করে, প্রেসিডেন্টকে দিয়ে যে নাটক করে এবং সার্চ কমিটি দিয়ে যে নাটক করে, ওইসব নাটকে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। আমরা জানি না এই নির্বাচন কমিশনে কারা? তাদের কোনো রকমের রিকগনাইজ করি না।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমরা যে নির্বাচন চাই, সেই নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার পতন অথবা পদত্যাগ, সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সেই নির্দলীয় সরকার কীভাবে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করবে সেই লক্ষ্যে তারা দায়িত্ব নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তারা যখন আরেকটি নির্দলীয় গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, আমরা সেই নির্বাচন কমিশনের সাথে কথা বলব।
ড. মোশাররফ বলেন, কিছুদিন আগে এই প্রধানমন্ত্রী জার্মানির ডয়েচে ভেলের সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তিনি আর নির্বাচন করবেন না। চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন। উনি নাকি প্রধানমন্ত্রী হবেন না। উনি (শেখ হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন যে, আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই সরকার টিকে থাকতে পারবে না। আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, আমাদের দল ক্ষমতায় গেলে প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপির এই নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে প্রশ্ন রেখে বলেন, তাদের নেত্রী বলেছেন, তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না। তাহলে ভবিষ্যতে তারা যদি ক্ষমতায় আসেন আপনাদের (ওবায়দুল কাদের) প্রধানমন্ত্রী কে হবেন-এটা জনগণকে জানান।
সরকার বিদেশি ঋণের কথা বলছে না অভিযোগ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির সূচকের সব কিছু প্রকাশিত হচ্ছে না। বৈদেশিক রিজার্ভের কথা বলা হচ্ছে। অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য্য তিনি নিজে স্টেটমেন্ট দিয়ে বলেছেন যে, আমাদের রিজার্ভ থেকে যে ঋণ দেওয়া হচ্ছে পুরোপুরিভাবে সরকার সেই তথ্য দিচ্ছে না। আরও অনেক ঋণ নেওয়া হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিদেশ থেকে যে ঋণ নেওয়া হয়েছে, খাতা-কলমে যেগুলো আছে। তা ছাড়াও সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটের নামে সাইড লাইনে সেসব ঋণ নেওয়া হয়েছে-এগুলো যদি এক করা হয় তাহলে দেশে অর্খনৈতিক অবস্থা শ্রীলংকার থেকে ভালো নয়।
ডলারের দাম নিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত এই সরকারের চাপাবাজিতে আমাদের অর্থনীতি সঠিক আছে, সঠিক আছে বলছে। তাহলে ডলারের দাম যে বেড়ে যাচ্ছে। দুই মাস আগে যে ডলারের দাম ছিল ৮২ টাকা এখন ১০২ টাকা। এটার জন্য দায়ী কে? কে নিয়ন্ত্রণ করবে? আসলে কোনো কিছু নিয়ন্ত্রণে নেই। আজকে যারা ক্ষমতায় তারাও ভালো নেই। ঘুম হয় না তাদের। ঘুম হয় না বলেই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখে অসংলগ্ন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আসে। যদি তার আগের রাত্রে ঘুম হতো তাহলে এই ধরনের বক্তব্য একজন মানুষ দিতে পারেন না।
খালেদা জিয়াকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে প্রমাণিত হয় তিনি খালেদা জিয়াকে পদ্মা নদীতে টুপ করে ফেলে দিয়ে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে এবং সেই নির্দেশ প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির আবদুস সালাম, রুহুল কুদ্দুস তালুদার দুলু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, যুবদলের সাইফুল আলম নিরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, এসএম জিলানী, মরহুম পিন্টুর বোন মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি ও সম্মিলিত ছাত্র যুব ফোরামের আহ্বায়ক নাহিদুল ইসলাম নাহিদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।