পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর গ্রিনরোডের এশিয়া প্যাসিফিক ইউনিভার্সিটির সপ্তম তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে এম ডি ইমাম হোসেন (২৩) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইমাম হোসেন ভোলার লালমোহন উপজেলার পাটোয়ারী বাড়ি নবগ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে পূর্ব রাজাবাজারে একটি মেসে থাকতেন ইমাম।
তেজগাঁও মডেল থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাততলা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ইমাম হোসেন। আমরা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখেছি, তিনি আশপাশে দেখছিলেন। পরে নিচের দিকে তাকিয়ে দেখেন, কেউ নেই। ওই সময় তিনি লাফিয়ে পড়েন। লাফিয়ে পড়ার আগে নিজের মুঠোফোনটি চেয়ারে রেখেছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাস্থলেই ইমাম হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে, কেন এ ঘটনা ঘটল, তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। আমরা পুরো ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। তার পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি।
ওসি বলেন, পরিবারের লোকজন থানায় আসছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। তারা মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
নিহতের চাচা মো. দুলাল পাটুয়ারী জানান, আমাদের সাথে ইমামের তেমন যোগাযোগ ছিলো না। সকালে গ্রাম থেকে খবর পাই সে মারা গেছে, তার লাশ ঢাকা মেডিকেলে আছে। এরপর হাসপাতালে এসে লাশ দেখতে পাই। কীভাবে এই ঘটনা ঘটেছে তা কিছুই আমরা জানিনা।
নিহতের স্বজনরা জানান, তার বাবা মা গ্রামে রয়েছে। তাদেরকে ঢাকায় আনার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। লাশটি গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে।
অন্যদিতে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের মাচান ভেঙে নিচে পড়ে জিহাদ (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার চন্দ্রিমা উদ্যানের ১৪ নম্বর রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক বেলা পৌনে ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের সহকর্মী আবু শাকিল জানান, তারা চন্দ্রিমা উদ্যানের ১৪ নম্বর রোডে ৯ তলা নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করছিল। মৃত জিহাদ রাজমিস্ত্রির কাজ করত। সকালে ভবনের ৮ তলার বাইরের দিকে মাচান বেধে দেয়াল প্লাস্টারের কাজ করছিল। এসময় মাচান ভেঙে গুরুতর আহত হয় জিহাদ। প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। জিহাদের বাড়ি কুড়িগ্রাম জেলায় হলেও বিস্তারিত ঠিকানা বলতে পারেনি সহকর্মীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।