পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
খোলাবাজারে ‘সেঞ্চুরি’ হাঁকানো ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ডলার ৯৭ থেকে ৯৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। ব্যবসায়ীরা এই দামে বিক্রি করলেও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিনছেন ৯৬ থেকে ৯৬ টাকা ৫৯ পয়সায়। যদিও খোলাবাজারে এখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া দামের তুলনায় অনেক বেশি দামে ডলার কেনাবেচা চলছে। ঢাকার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ঘুরে এবং ডলার কেনাবেচার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে চিত্রই দেখা গেছে।
সর্বশেষ গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই দাম নির্ধারণের পরের দিনই প্রথমবারের মতো খোলাবাজারে প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। একই সঙ্গে বাজারে ডলারের সংকটও দেখা দেয়। তবে আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে ডলার সংকট সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিপরিষদ সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান। এর আগে গত সোমবার বৈদেশিক মুদ্রার ব্যয় সাশ্রয়ে সংবিধিবদ্ধ, রাষ্ট্রায়ত্ত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-সরকারি এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব তহবিল ব্যয়ের মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমণও স্থগিত করে অর্থ মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপণ জারি করে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের এই দুরদর্শী সিদ্ধান্ত ও গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর বাজারের উত্তাপ অনেকটাই কাটতে শুরু করেছে।
ডলারের দামের বিষয়ে পল্টনের ক্যাপিটাল এক্সচেঞ্জের কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ডলারের দাম কিছুটা কমেছে। দু’দিন আগে প্রতি ডলারের দাম ১০১ টাকা হয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ডলার ৯৬ থেকে ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা করে কিনেছি। বিক্রি করেছি ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা ৬০ পয়সায়। মতিঝিলের পাইওনিয়ার মানি চেঞ্জারের কর্মী রোকন জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) আমরা ডলার বিক্রি করেছি ৯৮ টাকা দরে। কিনেছি ৯৭ থেকে ৯৭ টাকা ৫০ পয়সা করে।
দিলকুশার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জের সামনে ঘুরে ডলার কেনাবেচা করা মো. সোহেল নামের একজন বলেন, গত মঙ্গলবার প্রতি ডলারের দাম ১০২ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। দু’দিন ধরে ডলারের দাম কিছুটা কম। আজ (বৃহস্পতিবার) প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ৯৮ টাকায় বিক্রি করেছি। আমরা কিনেছি ৯৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৯৭ টাকা করে। তিনি বলেন, দাম বাড়লেও এখনও খুব বেশি ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। ভাগ্য ভালো হলে ৫০০-৬০০ ডলার কেনাবেচা করতে পারছি। বাজারে ডলারের এই পরিস্থিতি কতদিন থাকবে বলা মুশকিল।
এদিকে গত সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতি ডলারের বিনিময়মূল্য ৮০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে। তার আগে ৯ মে ডলারের বিনিময়মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে ডলারের বিনিময়ম‚ল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা, ২৩ মার্চ আরও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা এবং ২৭ এপ্রিল ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।