পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরী কমিশনের (বিইআরসি) গণশুনানীতে সরকারের নিকট বিদ্যুতের মূল্য ৫৭.৮৩ শতাংশ বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। আমরা বিইআরসি এর উক্ত প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবাদ জানায় বিজিএপিএমইএ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ মহামারীত্তোর সময়ে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ ও প্যাকেজিং পণ্যের কাঁচামালের মূল্য ৪০-৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সেক্টরের উৎপাদিত পণ্যের ক্রেতার শতভাগই দেশীয় প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তারা সে অনুপাতে ফিনিশড প্রোডাক্টের মূল্য পরিশোধ না করার কারনে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে বাধ্য হচ্ছে।
বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে এ সেক্টরের জন্য তা ’মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে বিবেচিত হবে উল্লেখ করে আরও জানানো হয়, মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, আমদানি ও রফতানিতে মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের ব্যাপক ব্যবধান হওয়ার কারনে এ সেক্টরের বহু প্রতিষ্ঠান ব্যবসা সংকুচিত/বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে এ সেক্টরের জন্য তা ’মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই দ্রব্যমূল্য প্রান্তিক মানুষের ক্রয় সীমার মধ্যে রাখা, রফতানি ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবে আমরা ঘোর আপত্তি জানাচ্ছি। কেননা, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সাথে উৎপাদন ব্যয়ও বৃদ্ধি পাবে।
এমতাবস্থায় রফতানি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার লক্ষ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগী সক্ষম রাখতে এই দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।