পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। এরই মধ্যে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসডিজির স্থানীয়করণ শুরু করেছে সরকার। এ জন্য ৪০টি অগ্রাধিকার সূচক অনুমোদন করা হয়েছে। সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এসডিজি স্থানীয়করণের একটি হাতিয়ার হিসেবে নির্বাচনী এলাকায় অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ নিশ্চিতকরণে একটি ডেল্টা প্ল্যাটফর্ম চালু করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগে এসডিজি অর্জন করে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান দৃঢ় করা হবে। গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এসডিজির বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনার দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জন করেছে। এমডিজি অর্জন ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অতি দারিদ্র্যের হার নিরসনে ও ক্ষুধা নির্মূল, সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, লিঙ্গবৈষম্য দূরীকরণ ও নারীর ক্ষমতায়ন, মাতৃস্বাস্থ্য উন্নতি, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, বৈশ্বিক সম্পর্ক জোরদার ও শিশুমৃত্যুর হার কমিয়ে আমরা এমডিজি অর্জন করেছি। নির্দিষ্ট সময়ের আগে এমডিজি অর্জন করে আমরা বিশ্বের কাছে সমাদ্রিত হয়েছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এসডিজির যে রিমার্কেবল অগ্রগতি হয়েছে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পেয়েছেন। দারিদ্র্য নিরসন করে আমরা জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেছি। জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থাও বাংলাদেশকে ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। শিক্ষায় অগ্রগতির জন্যও আমরা পুরস্কৃত হয়েছি। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ তৃতীয় পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনায় ২০৩১ সালে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বাংলাদেশ লক্ষমাত্রা অর্জন করবে। বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি দেখলে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা ইতিবাচক অর্থনীতি ধরে রেখেছি। মাথাপিছু আয় প্রমাণ করে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।