Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারাদেশে নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে: এনামুল হক শামীম

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০২২, ১২:০৬ এএম

পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, সারাদেশে তীব্র নদী ভাঙনকবলিত ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে স্থায়ী সমাধানের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব এলাকায় নদীভাঙন রোধে পর্যায়ক্রমে স্থায়ী প্রকল্প হচ্ছে। আর এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ অনেকাংশে জলাবদ্ধতা ও নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।
গতকাল বুধবার ৪ শ ৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয়ে পদ্মা বহুমুখী সেতুর ভাটিতে মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পদ্মা নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
উপ-মন্ত্রী শামীম বেলন, দেশে এতো উন্নয়ন হচ্ছে, তা দেখে বিএনপির আর ভাল লাগে না। তারা এখন রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা ক্ষমতায় আসার জন্য জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশী প্রভুদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। তারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পায় না। তারা যখন ক্ষমতায় থাকতে দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছে। আর ক্ষমতায় না থাকতে পেরে আগুন সন্ত্রাস করে পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে। এত অপকর্মের কারণে বিএনপির আর ক্ষমতায় আসার সুযোগ নাই। আর উন্নয়ন অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে পঞ্চমবারের মতো ক্ষমতায় আসবেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভাঙন রোধে স্থায়ী প্রকল্প করা হচ্ছে। উপকূল অঞ্চলে প্রতিটি বাঁধ প্রশস্ত ও উঁচু করা হচ্ছে, বনায়ন করা হচ্ছে। আর এসব স্থায়ী প্রকল্পে নদী খনন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এবং তা রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবলও বাড়ানো হয়েছে। কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার কারণেই গত ১৩ বছরে সারাদেশে নদী ভাঙনের পরিমাণ সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর থেকে সাড়ে ৩ হাজার হেক্টরে নেমেছে। হাওড় অঞ্চলেও ভাঙন রোধে কাজ করা হয়েছে। এ কারণে সেখানকার কৃষকরা ফসল ঘরে তুলতে পেরেছেন। দুর্নীতি যাতে না হয় এবং কাজের ক্ষেত্রে যাতে গুণগত মান বজায় থাকে, সেজন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হয়। কাজের ব্যাপারে কোনো প্রকার অনিয়ম, দূর্নীতি ও গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
উপমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী প্রজন্ম নিয়ে ভাবেন, সেজন্য তিনি আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের সুবিধা সম্বলিত বাংলাদেশ গড়তে চান। এজন্য তিনি দূরদর্শী পদক্ষেপ নেন। সেজন্য তিনি ডেল্টাপ্লান-২১০০ বাস্তবায়নেরও ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার সিংহভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে নদী ভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
মুন্সিগঞ্জ-২ আসনের এমপি সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ওসমান গনি তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ সিকদার। এসময় বক্তব্য রাখেন, ঢাকা পওর বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন, ঢাকা পওর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ