পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকার সায়েন্স ল্যাবরেটরি থেকে অপহৃত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণরত চিকিৎসক মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদকে দ্রুত উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবার। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ডাক্তার মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদের বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আলম। এতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ১৪ অক্টোবর রাতে তার চিকিৎসক ছেলে মুহাম্মদ ইকবাল মাহমুদ লক্ষ্মীপুরের বাসা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ৩-১০ মিনিটে বাস থেকে নামার পর সায়েন্স ল্যাবরেটরি আড়ং-এর সামনে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন একটি মাইক্রোবাসে তুলে তাকে নিয়ে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে ১৬ অক্টোবর তিনি ধানমন্ডি থানায় মামলা (নং-০৯/১২৪) করেন। পুলিশের মাধ্যমে আড়ংয়ের সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ উদ্ধার করা হয় যেখানে স্পষ্টভাবে দেখা গেছে তাকে অপহরণ করা মাইক্রোবাসের পেছনে একটি মোটরসাইকেলে দুই আরোহী এবং একটি পুলিশের গাড়ি ছিল। অপহরণকারীদের চেহারাও স্পষ্ট দেখা গেছে। এত স্পষ্ট ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও এবং ৩৩ দিন পরও পুলিশ তার সন্তানের কোনো খোঁজ দিতে পারেনি।
অপহৃত চিকিৎসকের বাবা আরো বলেন, তার ছেলে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর ২৮তম বিসিএস- এ উত্তীর্ণ হয়ে লক্ষ্মীপুর সদরে চাকরিতে যোগদান করে। পরবর্তীতে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরে কর্মরত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে অ্যানেস্থেসিয়ার ওপর একটি উচ্চতর কোর্সের জন্য দুই বছরের ডেপুটেশনে আসে। সেখান থেকে দুই মাসের ট্রেনিংয়ের জন্য ঢাকায় পাঠানো হয় তাকে। এরই অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণরত ছিলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন অপহৃত ইকবাল মাহমুদের চাচা মো: নুরুন্নবী ও তার দুই চাচী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।