Inqilab Logo

সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ভারপ্রাপ্ত ভিসিদের স্বাক্ষরিত সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে ইউজিসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:০৩ এএম, ১৮ নভেম্বর, ২০১৬

দেশের ১৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত ভিসিদের স্বাক্ষরে দেওয়া শিক্ষার্থীদের সনদ অবৈধ ঘোষণা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। প্রেসিডেন্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের নিয়োগ করা ভিসির স্বাক্ষর ছাড়া কোন সনদই গ্রহণযোগ্য হবে না। এমনকি মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসির স্বাক্ষর করা সনদ অবৈধ হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে ইউজিসি। বিজ্ঞপ্তিতে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার না থাকা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নামের তালিকা দিয়ে ইউজিসি বলেছে, প্রেসিডেন্টের নিয়োগ করা ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারারের হালনাগাদ তালিকা ইউজিসির ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। এ জন্য ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জেনেশুনে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে ইউজিসি। ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার না থাকা ১৮ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি, ইবাইস ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া, রয়েল ইউনিভার্সিটি, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ শিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন, নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মি ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কাদিরাবাদ, আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-সৈয়দপুর এবং বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি-কুমিল্লা।
ইউজিসি বলেছে, প্রেসিডেন্ট প্রত্যেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার পদে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। কাজেই এসব পদে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দেওয়া আইনের পরিপন্থী। ইউজিসির একাধিক নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও এই ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার  নিয়োগের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। এর ফলে শিক্ষার্থীদের সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হচ্ছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান বলছেন, সনদ অবৈধ হলেও শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি বাতিল করা হয়নি। ওইসব সনদ ‘রেগুলারাইজড’ করার সুযোগ আছে। তিনি বলেন, ভিসি নিয়োগ করার জন্য ২৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এর মধ্যে অনেকে ব্যবস্থা নিয়েছে, ব্যবস্থা নেয়নি এমন ১৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই আদেশ প্রযোজ্য।” তিনি বলেন, “সনদ মানে তো পাসের সত্যায়ন, সেই রেকর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সেই রেকর্ড দিলে নতুন ভিসি তাতে সই করবেন। সনদটা নিয়মানুযায়ী নিতে হবে।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ