পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক লক্ষ্যই হলো গবেষণা করা। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন জ্ঞানের সৃষ্টি ও শাখার উদ্ভাবন করা। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এই লক্ষ্য পূরণ করতে পারছে না। ২০১৫ সালেই ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে) কোন গবেষণা প্রকাশিত হয়নি। আর ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার জন্য কোন অর্থই ব্যয় করেনি। শিক্ষার্থী ভর্তি, ক্লাস-পরীক্ষা আর সার্টিফিকেট প্রদান করেই দায় সারছে এসব বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ আইনে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য গবেষণার বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হলেও তা মানছে না কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। বছরের পর বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে, কিন্তু এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গবেষণাই হচ্ছে না। আবার অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কোন বরাদ্দই রাখছে না এই খাতে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন (২০১০) অনুযায়ী সব ক’টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছর বাজেটে গবেষণা খাতে একটি অংশ বরাদ্দ রেখে তা খরচ করার কথা। কিন্তু কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অধিকাংশই এটি অনুসরণ করে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে খরচ দেখালেও ওই অর্থ প্রকৃতপক্ষে গবেষণা প্রকল্পে ব্যয়ও হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে সরকারি ও বেসরকারি ১২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫০টিতে কোন গবেষণা প্রকাশিত হয়নি। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৩টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ৩৭টি। আর গবেষণা খাতে কোন অর্থই ব্যয় করেনি এমন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ৩৮টি। এর মধ্যে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ২৮টি। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণার এমন বেহাল দশাকে উদ্বেগজনক মনে করছেন প্রবীণ শিক্ষাবিদরা। প্রফেসর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ দুটি। প্রথমত, শিক্ষাদান, দ্বিতীয়ত, শিক্ষাদানের জন্য নতুন নতুন জ্ঞানের উদ্ভাবন। একটিকে বাদ দিয়ে আরেকটি চলে না। এ জন্য শিক্ষকদের গবেষণা করতে হবে। তাঁরা প্রতিনিয়ত সেসব প্রকাশ করবেন, প্রবন্ধ লিখবেন, সেমিনার করবেন।
ইউজিসি’র সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সালে ৮৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এরমধ্যে ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে কোন অর্থই ব্যয় করেনি। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ২৭। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করেনি ১০টি। ২০১৪ সালেও ১১টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণায় অর্থ ব্যয় করেনি।
২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে কোন ধরণের গবেষণা প্রকাশিত হয়নি ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ১৩টিতে নেই কোন প্রকাশনা। ২০১৪ সালে ৩৯টি বেসরকারি আর ১৪টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কোন প্রকাশনা প্রকাশিত হয়নি। ২০১৩ সালে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে কোন বরাদ্দ ছিল না, ৪২টির কোন গবেষণা ছিল না। আর ৩৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১০টিতে ছিল না গবেষণা খাতের কোন বরাদ্দ। ২০১২ সালে ৬০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৪৩টিতে কোনো গবেষণা প্রকল্প পরিচালিত হয়নি। ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে কোনো ধরনের টাকাও খরচ করেনি। ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয় কোনো গবেষণা বৃত্তি দেয়নি। ইউজিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সার্বিকভাবে ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপেক্ষাকৃত নবীন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহেও বরাদ্দ হয়েছে। যেসকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে সঙ্গত কারণেই ঐসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেয়া সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুয়ায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ২০১৫ সালে গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করেছে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি এবং এরপরই আছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি।
এ বিষয়ে ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. একে আজাদ চৌধুরী বলেন, গবেষণা ছাড়া কোয়ালিটি ধরে রাখা খুব কঠিন। গবেষণার জন্য টাকা দরকার এটা কে শুনে? সরকার বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকরা যদি না শুনে এখানে মঞ্জুরি কমিশনের কী করার আছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে বরাদ্দ দেয়া হয়, তার ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ টাকা চলে যায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বরাদ্দ বাবদ। এরপর অবকাঠামোসহ মৌলিক কিছু কাজ করতে হয় প্রতি বছর। তাছাড়াও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাপ প্রয়োগ করা যায় না অর্থ সংক্রান্ত আইনের কারণে। আর এ নিয়ে সংসদে একটি আইন পাস করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হলে এমপিদের তোপের মুখে কয়েকবার বাদ পড়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা : ট্রাস্ট্রে অধীনে পরিচালিত হলেও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখন লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ২০১৫ সালে দেশের ৮৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে কোন অর্থ ব্যয় করেনি। যা প্রায় ৩৩ ভাগ। অন্যদিকে ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই এক বছরে কোন ধরণের প্রকাশনা, প্রবন্ধ ও সাময়িকী প্রকাশিত হয়নি। বাকীরা নামেমাত্র গবেষণা খাতে বরাদ্দ রেখে দায় সেরেছে। সব বিষয়ে মোট বরাদ্দে অর্ধেক ব্যয় করেছে একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বরাদ্দ না রাখার মধ্যে ছিল প্রথম ক্যাটাগরি কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়। আর মাত্র ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতে বরাদ্দ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে ইউজিসি। এগুলো হলো ব্র্যাক, ইন্ডিপেনডেন্ট, আমেরিকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস অব বাংলাদেশ সন্তোষজনক বরাদ্দ রেখেছে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় কোন বরাদ্দ ছিল না এবং গবেষণা প্রকাশিত হয়নি সেগুলো হলোÑ সিটি ইউনিভার্সিটি, রয়েল ইউনিভার্সিটি, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি, পিপলস ইউনিভার্সিটি, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজি, দারুল ইহসান, ঈশাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ফেনী ইউনিভার্সিটি, ব্রিটানিয়া ইউনিভার্সিটি, নটরডেম ইউনিভার্সিটি, টাইমস ইউনিভার্সিটি, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব ইউনিভার্সিটি, রণদা প্রসাদ সাহা ইউনিভার্সিটি, জার্মান ইউনিভার্সিটি, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি, সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ আর্মি ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (বিএইউএসটি), কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও পু-্র ইউনিভার্সিটি অব সাসেন্স এন্ড টেকনোলজি।
অর্থ বরাদ্দ থাকলেও গবেষণা করেনি এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি, হামদর্দ ইউনিভার্সিটি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি, নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি, ফাস্ট ক্যাপিটাল ইউনিভার্সিটি, জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি, রাজশাহী সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ইউনিভার্সিটি, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আবার যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবন্ধ ও সাময়িকী প্রকাশিত হয়েছে সেসব প্রকাশনা কাক্সিক্ষত পর্যায়ে উন্নীত হয়নি বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা : সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে চললেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলছে গবেষণার বেহালদশা। ২০১৫ সালে ৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১৩টিতে কোন গবেষণা প্রকাশিত হয়নি। গবেষণা খাতে ব্যয়ই করেনি ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৪ সালে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১১টি ছিল না কোন গবেষণা বরাদ্দ। যা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শতাংশের বেশি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), জাহাঙ্গীরনগর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকীদের ছিল না কোন উল্লেখযোগ্য বরাদ্দ। গবেষণা খাতে ব্যয় হয়েছে কিন্তু এক বছরেও কোন প্রকাশনা হয়নি ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন গবেষণায় হয়নি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছিল বরাদ্দে ও প্রকাশনার দিকে থেকে পিছিয়ে।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখেনি সেগুলো হলোÑ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইমস ইউনিভার্সিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা প্রকাশিত হয়নি চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রভেশনালস, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, বরিশাল, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইমস ইউনিভার্সিটি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, দলীয়করণের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের কারণেই শিক্ষকদের যোগ্যতার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর যে সকল শিক্ষক দলীয়ভাবে নিয়োগ পাচ্ছে অনেক ক্ষেত্রে দেখায় তারা গবেষণার যোগ্য না। এই কারণে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কমে যাচ্ছে। এর প্রভাব পড়ছে শিক্ষার্থীদের উপর। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে তিনি বলেছেন, একটি শিক্ষক একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়। ফলে অর্থ বরাদ্দ থাকলেও তারা গবেষণার কাজ করার সুযোগ পায় না। শুধু গবেষণায় নয়, বর্তমানে শিক্ষার মান নিয়েই প্রশ্ন উঠছে উঠছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেছিলেন, শিক্ষাদান ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করাই হলো উচ্চ শিক্ষা। এই দুটি বিষয় নিশ্চিত করতে দরকার প্রচুর গবেষণা। কিন্তু বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় গবেষণা অবস্থা খুবই খারাপ। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা নেই বললেই চলে। ইউজিসি যেসব তথ্য দিচ্ছে তাতে উচ্চ শিক্ষা অবস্থা খুবই বেহাল দশা বলে মনে হচ্ছে। গবেষণা ছাড়া একটি বিশ্ববিদ্যালয় চিন্তাই করা যায় না। নতুন জ্ঞান সৃষ্টি করতে না পারলে প্রাইমারি, মাধ্যমিক স্কুলে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন তফাত থাকে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।