Inqilab Logo

বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

বছরে ৮০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ পাচার

আইবিএফবি’র সেমিনারে বক্তারা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিগত চার দশকে বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় ৮০ কোটি বা ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থ পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়া, কানাডা, ভারত, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, হংকং, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এ বিপুল অর্থ পাচারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পাচার হচ্ছে অবৈধ পন্থায় বিদেশে বিনিয়োগের জন্য এবং যার জন্য এনবিআর বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় বঞ্চিত হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অফ বাংলাদেশ (আইবিএফবি) কর্তৃক আয়োজিত “বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ” শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মশিউর রহমান বলেন, প্রায় তিন বছর আগে সরকার বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগ সহজ করতে চেয়েছিল, কিন্তু সেসময় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ খুব বেশী না থাকার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক কিছুটা দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ছিল। কিন্তু বর্তমানে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রিজার্ভ এবং চলতি হিসাবে সারপ্লাস বা উদ্বৃত্ত আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি জনাব আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, এদেশের অনেক বিনিয়োগকারী এখন নানাবিধ ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা অর্জন করেছে। এসব উদ্যোক্তাকে অবশ্যই দেশের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া উচিত যাতে তারা বিনিয়োগকৃত অর্থের বিপরীতে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করতে পারে। আর এসব বিনিয়োগকারীকে এখন দেশের বাইরে বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে সেটা অত্যন্ত অন্যায্য হবে।
বাংলাদেশের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসির সমালোচনা করে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বর্তমান রপ্তানী নীতি অনুযায়ী একজন রপ্তানীকারককে তার ১০০ শতাংশ রপ্তানী আয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখতে হয়। কিন্তু রপ্তানীকারকদের মোট রপ্তানী আয়ের কিছু অংশ নিজের কাছে রাখার এবং ক্যাপিটাল একাউন্ট খোলার মাধ্যমে বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেয়া উচিত।
আইবিএফবি’র প্রেসিডেন্ট জনাব হাফিজুর রহমান খান উক্ত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন এবং আইবিএফবি’র পরিচালক জনাব এম. এস. সিদ্দিকী অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠান শেষে আইবিএফবি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে একদল পরামর্শক “বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের বৈদেশিক বিনিয়োগ” শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধটি লেখেন এবং পরামর্শক দলের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ