পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণভোটে সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে ভোট পড়ে ৮ দশমিক ৫১ ভাগ, বিপক্ষে পড়ে ৯০ দশমিক ৪৮ ভাগ এবং বাতিল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ দশমিক শূন্য ১ ভাগ। ভোট দিয়ে গণরায়ে সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিপক্ষে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ মানুষ। প্রতীকী এ গণভোটে অংশ নেন ১০ হাজার ১১১ জন।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরাজেয় বাংলায় এ গণভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে এ ধরনের গণভোট শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর। তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ গণভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন।
সরকারের পক্ষ থেকে দেশের উন্নয়নে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ অব্যাহত থাকার কথা জানালেও আন্দোলনকারীদের বক্তব্য হচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বহু বিকল্প আছে, সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই। ভারতের যে অংশে সুন্দরবন রয়েছে সেখানে এধরনের বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে বিধি নিষেধ রয়েছে। সুন্দরবন বাঁচাও আন্দোলনকারীরা বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ ও ঐতিহ্য রক্ষার উদ্যোগ হিসেবে সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করছে। এ আন্দোলনকারীদের ‘গ্রিন এ্যাক্টিভিস্ট’ নামেও অভিহিত করা হয়।
তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ ও বন্দর রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ এ গণভোটের ফলাফল ঘোষণা বলেন, গণভোটে সুন্দরবনে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে ভোট পড়ে ৮ দশমিক ৫১ ভাগ, বিপক্ষে পড়ে ৯০ দশমিক ৪৮ ভাগ এবং বাতিল ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ১ দশমিক শূন্য ১ ভাগ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক বদরুল ইমাম বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতির জন্যে অভিশাপ। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু হলে পরিবেশ রক্ষার কোনো উপায় থাকবে না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ব্যাপক বিক্ষোভ থাকার পরও সরকারের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। ইউনেস্কোসহ বিভিন্ন পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন ও প্রতিষ্ঠান রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের আহবান ও উদ্বেগ জানিয়েছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে লংমার্চ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে এক খোলাচিঠি দেয়া হয়। ভারতের সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলেও দেশটির পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়টি সংগঠন বাংলাদেশে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ স্থগিত করার দাবি জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।