পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, যা শিগগিরই চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে দেখা করার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের সভায় তেলের দাম কমানোর বিষয়ে কথা হয়েছে। এখন আমরা কাগজপত্র প্রস্তুত করে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে দেব। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করে বিষয়টা চূড়ান্ত করা হবে।
আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে আর্থিক ব্যবস্থাপনার চলমান পথে টিকে থেকে কীভাবে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে মুহিত জানান। মন্ত্রী বলেন, “যে রাস্তায় আমরা চলছি, সেখানে কীভাবে আমরা থাকতে পারি, আর গতিটা কীভাবে বাড়াতে পারি- সেটাই বলছে সবাই। সুবিধা যেটা আমরা নিচ্ছি, সেটা কীভাবে আরও নিতে পারি... এক্সপোর্টের ব্যাপার... বিনিয়োগ এখন একটু বাড়ছে। জ্বালানি তেলের দাম যে দামটা আছে, আরেকটু কমালে অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।”
অর্থমন্ত্রী জানান, এর আগে জ্বালানি তেলের দাম যা কমানো হয়েছে তাতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। “তেলের দাম আমরা কিছুটা কমিয়েছি, ফার্নেস অয়েল আমরা কমিয়েছি। বাকী যা কমিয়েছি, সেটা নমিনাল।”
নতুন করে তেলের দাম কতটা কমানো হতে পারে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এগুলা নিয়ে বসতে হবে। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে।
তেলের জন্য দেওয়া ভর্তুকির লোকসান সরকার এর মধ্যে কাটিয়ে উঠেছে জানিয়ে মুহিত বলেন, “কোনো লোকসান নাই, মোর দ্যান কাভারড। এমনকি সরকার যে টাকা পাওনা ছিল, সেটাও পেয়ে গেছি।
গত ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমায় সরকার। তার আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়।
জ্বালানি তেলের দাম কমালেও সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পায় না বলে প্রচলিত অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের বেনিফিট আসবে। সব কিছুর দাম কমে যাবে।
বিদ্যুতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম আমরা পুনর্মূল্যায়ন করব। এখন তেলের দাম কমলে এটা হয়তো খুব বাড়বে না। অন্যথায় এটা দ্বিগুণও হতে পারতো। পরিবহন ভাড়া কমবে।
“তেল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির খুবই মৌলিক বিষয়। আমাদের এই যে, সাম্প্রতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তার মূলে রয়েছে জ্বালানি। আমরা এটা দিতে পেরেছি। তেলের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিদ্যুতের দামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”
বিদু্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সস্তা বিদ্যুৎতো পাচ্ছি না। জল বিদ্যুৎ কিছুই হচ্ছে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।