পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে নৌপথের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ কমাতে দেশের নৌপথের সক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার।
গতকাল শনিবার ঢাকায় হোটেল রেডিসনে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ অঞ্চলের নৌ-করিডোরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নৌপথ খনন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে থমকে দেওয়া হয়েছিল। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার দেশের নৌপথসহ কোনো পথেই উন্নয়ন করে নাই। এরপর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের নৌপথ পুনরায় উদ্ধার ও উন্নয়নে হাত দেন। যে দুটি চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে তার কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশের নৌপথে পণ্যবাহী যান ও যাত্রীরা আরো সাচ্ছন্দ্যে নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন প্রকল্প পরিচালক বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আইউব আলী, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, অপর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে বঙ্গ ড্রেজার্স লিমিটেডের পরিচালক মো. আইনুল ইসলাম। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, অভ্যন্তরীণ নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সক্ষমতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণে এ চুক্তি হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী, ১৩টি নৌরুটের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ খনন কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গালফ কবলা-কর্ণফুলী যৌথ প্রতিষ্ঠান এবং ধারতি-বঙ্গ যৌথ প্রতিষ্ঠান। এজন্য ব্যয় হবে ৪৩০ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ খনন, ৬টি স্থানে নৌযানের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, ৩টি ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, ৪টি প্যাসেঞ্জার ও ২টি কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন, ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং দুটি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম করিডোরের আশুগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে মূল নদী ও শাখা (প্রায় ৯০০ কিলোমিটার নৌপথ) পারফরম্যান্স বেইজড কন্ট্রাক্ট ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ এবং নাব্যতা সংরক্ষণ করা হবে। এ নৌ-করিডোরে নৌযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত স্থানগুলো হচ্ছে, ষাটনল, চরভৈরবী, চাঁদপুর, মেহেন্দীগঞ্জ, সন্দ্বীপ এবং নলচিরা।
চাঁদপুর-শরিয়তপুর, লক্ষীপুর-ভোলা এবং ভেদুরিয়া-লাহারহাট নৌরুটের ফেরি ক্রসিং এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং, ঢাকা শ্মশানঘাট, নারায়ণগঞ্জ, চাঁদপুর এবং বরিশালে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন এবং পানগাঁও ও আশুগঞ্জে কার্গো টার্মিনাল নির্মাণ ও উন্নয়ন করা হবে।
এছাড়া ভৈরব বাজার, আলু বাজার, হরিণা, হিজলা, মজুচৌধুরী, ইলিশা, ভেদুরিয়া, লাহারহাট, বদ্দারহাট, দৌলতখাঁ, চেয়ারম্যানঘাট (চর বাটা), সন্দ্বীপ, তজুমদ্দিন, মনপুরা এবং তমুরুদ্দিনে ল্যান্ডিং স্টেশন নির্মাণ এবং ২টি মাল্টিপারপাস ভেসেল সংগ্রহ করা হবে। চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ নৌ-করিডোর এবং নারায়ণগঞ্জ ও বরিশাল এর বর্ধিতাংশ অভ্যন্তরীণ ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রাধিকার রুট বা নৌপথ হিসেবে চিহ্নিত। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ নৌযান এ করিডোরের মধ্য দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় ২ লাখ যাত্রী এ সব নৌপথ ব্যবহার করে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের ব্যয় ৩ হাজার ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা। এরমধ্যে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প সাহায্য ৩ হাজার ৫২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি) ২৯৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বিআইডব্লিউটিএ। অনুষ্ঠানে নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী এবং বিআইডব্লিউটিএ›র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।