প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : একটা এলাকায় ১২ জন মহিলা নিজেদের মধ্যে সঞ্চয় এর অভ্যাস তৈরির জন্য এমন একটা পরিকল্পনা করেছে যে, প্রতি মাসে এক জনকে তার বাসায় একটা আয়োজন করে ২ গ্রাম সোনা উপহার দেয়া হবে, যেই সোনা বাকি ১১ জন থেকে সম পরিমাণ টাকা উঠিয়ে কেনা হয়। যাকে সোনা উপহার দেয়া হবে সে তার বাসায় হয়তো হালকা খাওয়ার আয়োজন করে বাকিদের জন্য। এইভাবে যে একবার সোনা পাবে সে ওই বছর আর পাবে না। এরকমভাবে এক বছরে ১২ জনের সবাই ২ গ্রাম সোনা পাবে। কারো ইমারর্জেন্সি দরকার হলে সে আগে আরেকজনের সাথে পালা বদল করতে পারে। এরকম চুক্তি করা জায়েজ কিনা জানালে ভালো হয়?
উত্তর : এতে যদি কোনো অনিচ্ছা, চাপ, সুদ বা প্রবঞ্চনার সম্ভাবনা না থাকে তাহলে জায়েজ আছে। এর মানে হলো, সবাই মিলে প্রতি মাসে একজনকে একটি জিনিষ দিয়ে দেওয়া। ১২ মাস পরে আশা করা যায় সবাই সমান পরিমাণ জিনিষ পাবে। আর ঘরে ঘরে যে নাস্তার আয়োজন তা নিতান্তই ঐচ্ছিক ও সৌজন্যমূলক হওয়া চাই। এর সাথে লেনদেনকে জড়ালে কিংবা ব্যায়ের পরিমাণ বাধ্যতামূলক করলে ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা থেকেই যায়। ঝামেলা সম্ভাবনা যেখানে থাকে, শরীয়ত এই ব্যবসা লেনদেনকে উৎসাহিত করে না।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।