পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কেন্দ্রীয় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, ডাকসু’র সাবেক ভিপি এবং ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহŸায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকার জিয়া-খালেদা-তারেকের জনপ্রিয়তায় ভয় পায় বলেই ক্ষমতায় থাকতে যা যা করার তাই করছে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? দেশের জনগণ জেগে উঠছে। বিএনপি’র নেতৃত্বে ‘গণবিরোধী, স্বৈরাচারী’ এই সরকার পতনে প্রয়োজনে ‘আমান-নাজিম’রা প্রাণ দেবে। ৯০-এর আন্দোলনের মতো ঢাকাকে অচল করেই হাসিনা সরকারের পতনে এক দফা আন্দোলন সফল করা হবে। তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সরকার জনবিরোধী হলে, জনগণ ক্ষেপে গেলে যা হয়, শ্রীলঙ্কায় তাই ঘটছে।
নিউইয়র্কে গ্রেটার ঢাকা জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও কেরাণীগঞ্জ ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান উপরোক্ত কথা বলেন। গত বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় উডসাইডস্থ যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের বাসায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাকসু’র সাবেক এজিএস ও সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন আলম এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ। এম এ বাসেতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, ফোরাম ও ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে আলাউদ্দিন আহমেদ, আমিনুল ইসলাম কচি, আরিফ আহমেদ চৌধুরী, মোহাম্মদ মহসিন, ফারুক হোসেন, আব্দুল করীম, মোহাম্মদ সুরুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলা বিএনপি’র প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন।
সভায় বক্তারা ৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পুরোধা, তৎকালীন ডাকসু’র ভিপি আমানের নেতৃত্বের প্রশংসা এবং তাকে ঢাকা উত্তর বিএনপি’র আহŸায়ক মনোনীত করায় দলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং আমান উল্লাহ আমানকে বিএনপি’র মহাসচিব হিসেবে দেখার দাবি জানান।
সভায় আমান উল্লাহ আমান বলেন, আমরা দেশে আইনের শাসন চাই, রাতের ভোট নয়, জনগণের ভোটের সরকার চাই। তিনি বলেন, ৯০-এর আন্দোলনের সময় সারাদেশ সচল ছিল আর ঢাকা অচল ছিল বলেই স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন হয়েছিল। আগামী দিনের আন্দোলনে শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশ অচল করেই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানো হবে ইনশাল্লাহ। এজন্য প্রস্তুতি চলছে। তিনি দেশ ও প্রবাসের দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই আন্দোলনে অগ্রণী ভ‚মিকা রাখার আহŸান জানান।
নাজিম উদ্দিন আলম বলেন, হতাশার কিছু নেই। স্বৈচারের পতন হবেই। দলের পরীক্ষিত নেতাদের যোগ্য স্থান দিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলন গড়ে তুলতে কাজ চলছে। এখন দরকার দলীয় নেতা-কর্মী সকলের ঐক্য। তিনি বলেন, ৯০-এ আমান ভাইয়ের নেতৃত্বে দেশের ছাত্র সমাজ এরশাদ পতনের আন্দোলনে যে ভ‚মিকা রেখেছে, সেই পরীক্ষিত নেতা আমান ভাইয়ের নেতৃত্বেই আমরা ঢাকাকে অচল করে দিয়ে ভোটবিহীন হাসিনা সরকারের পতন ঘটাব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।