পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ১৬ মে থেকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে ১১০ টাকা লিটারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করবে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পাশাপাশি মসুর ডাল, চিনি ও ছোলা বিক্রি করবে সংস্থাটি।
বুধবার (১১ মে) টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাজারে নিত্য প্রয়ােজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখতে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সাশ্রয়ী ও ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। এজন্য সারা দেশে সব মহানগরী জেলা ও উপজেলায় ২৫০-৩০০টি খােলা ট্রাকের মাধ্যমে আগামী ১৬ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত বিক্রি কার্যক্রম চলবে।
ট্রাক থেকে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ দুই কেজি মসুর ডাল, ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন। এছাড়া গত মাসের অবশিষ্ট ছােলা ৫০ টাকা কেজি দরে ভােক্তার চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি করা হবে।
প্রসঙ্গত, রোজার ঈদের আগে হঠাৎ করে বাজারে ভোজ্যতেলের সংকট দেখা দেয়। ঈদের আগের রাতেও অনেক ক্রেতা বাজারে গিয়ে তেল না পেয়ে ফিরে আসেন। এ নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে গত ৫ মে দাম বাড়ানো হয় সয়াবিন ও পাম অয়েলের। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৯৮ টাকা ও পাম সুপার ১৭২ টাকা নির্ধারণ করেন মিল মালিকরা। এরপরও সয়াবিন তেলের সংকট কাটেনি। দোকানে তেল না থাকার জন্য খুচরা বিক্রেতা, ডিলার ও মিল মালিকরা একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন।
এ পরিস্থিতিতে ‘তেল কোথায় গেল’- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মাঠে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাদের অভিযানে বেরিয়ে আসে ডিলার ও খুচরা দোকানিরা গুদামে ও গোপন স্থানে বিপুল পরিমাণ তেল মজুত করে রেখেছেন। ঢাকাসহ সারা দেশেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
৭ মে থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা লাখ লাখ লিটার তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিকার। তাদের অভিযানে সহযোগিতা করতে দেখা যায় র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। অবৈধভাবে মজুতের দায়ে ব্যবসায়ীদের করা হয় জেল-জরিমানা। একই সঙ্গে জব্দ করা তেল আগের দামে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে ভোক্তা অধিকার।
উল্লেখ্য, গত চার বছরে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে তার মধ্যে অন্যতম সয়াবিন ও পাম অয়েল। ২০১৯ সালে দেশের বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম ছিল ১০৪ টাকা। ২০২০ সালে সেটি বেড়ে হয় ১১৩ টাকা, ২০২১ সালে ১৩০ টাকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে এসে হয় ১৬৮ থেকে ১৭০ টাকা। এখন হলো ১৯৮ টাকা।
পামওয়েলের লিটার (খোলা) ২০১৯ সালে ছিল ৫৮ টাকা, ২০২০ সালে ৭৮ টাকা, ২০২১ সালে ১০৭ টাকা এবং ২০২২ সালের শুরুতে হয় ১৫০ টাকা। এখন ১৭২ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।