পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিগগিরই মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়িত হবে ইনশাআল্লাহ। গত ডিসেম্বর মাসের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুযায়ী মালয়েশিয়া আসার খরচ বহন করবে মালিক পক্ষ। অতিরিক্ত টাকা কেউ দাবি করলে তাদের সাথে লেনদেন করবেন না। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তবে আপনাদের সহায়তা করার কোন সুযোগ থাকলে অবশ্যই আমরা সহযোগিতা করব।
মালয়েশিয়ার ক্যামেরুন হাইল্যান্ড প্রদেশে অবস্থানরত শ্রমজীবী প্রবাসীদের সাথে ঈদ পূর্ণমিলন ও বৈশাখী উদযাপন উপলক্ষে গতকাল রোববার স্থানীয় একটি হোটেলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত প্রবাসীদের পরামর্শ ও বিভিন্ন সমস্যা কথা শোনেন হাইকমিশনার। কুয়ালালামপুর থেকে প্রবাসী সাংবাদিক এম এ আবির এতথ্য জানিয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাসের ফাস্ট সেক্টেটারি জি এম রাসেল রানার সঞ্চালনায় এই অনুষ্ঠানে সাধারণ প্রবাসীদের পাশাপাশি স্থানীয় নিয়োগ কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এই সময় দেশটির নিয়োগকর্তারা তাদের বক্তব্যে বাংলাদেশি কর্মীদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং নতুন করে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমউইংয়ের প্রধান মিনিস্টার মো. নাজমুজ সাদাত সেলিম, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ভেজিটেবল গ্রোয়াস এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতুক চায় কুক লিম, মালায় ফারমার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতুক সাঈদ আবদুল রহমান বিন সাঈদ ও ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ফ্লোরি কালচার এসোসিয়েশন চেয়ারম্যান মিষ্টার লি পং ফো।
হাইকমিশনার বলেন, আমরা এই কোভিড-১৯ এর মাঝে গত এক বছরে প্রায় ৩ লক্ষ পাসপোর্ট বিতরণ করেছি যা সকল দূতাবাসের চেয়ে রেকর্ড পরিমাণ। শ্রমজীবী প্রবাসীদের সাথে সরাসরি খোলামেলা আলোচনা অনুষ্ঠানটি ক্যামেরুন হাইল্যান্ড থেকে শুরু করেছি। হাইকমিশনার বলেন, আগামী ৩০ জুন পযন্ত মালয়েশিয়া অবস্থানরত অবৈধ প্রবাসীরা কেএলআই এয়ারপোর্টে স্পেশাল ডেস্কে ৫ শত রিঙ্গিত জরিমানা দিয়ে দেশে যেতে পারবে। মালয়েশিয়া বৈধ করণ প্রক্রিয়ার মেয়াদ শেষ হয়েছে তবে যাহারা রেজিষ্ট্রেশন করে রেখেছে তাদেরকে ফিঙ্গার প্রিন্ট করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
মালায় ফারমার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান দাতুক সাঈদ আবদুল রহমান বিন সাঈদ বলেন, ক্যামেরুন হাইল্যান্ডে বর্তমানে শ্রমিক সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে। মাএ ৭/৮ হাজার শ্রমিক কাজ করছে যা করোনা পরবর্তী সময়ে কাজ পরিচালনা করা সম্ভব না। আমাদের আরোও ৮/৯ হাজার শ্রমিক প্রয়োজন। এই শ্রমিক আমরা বাংলাদেশ থেকে নিয়োগ দিতে আগ্রহী । কারণ বাংলাদেশি ওয়ার্কার গুলো খুবই ভালো। দ্রুত কাজ শিখতে পারে, দায়িত্ব সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারে। বাংলাদেশি শ্রমিকই আমাদের বেশি পছন্দ। অনুষ্ঠানে আগত ১১ জন প্রবাসীকে কুপন ড্রয়ের মাধ্যমে পুরস্কার বিতরণী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।