পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে থাকা বাংলাদেশ বিশ্বের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আজ সোমবার (৯ মে) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিজনেস ডেলিগেশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।
ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিনিয়োগের পরিবেশ সরেজমিনে দেখতে বাংলাদেশে এসেছে। আমরা তাদের বলেছি, আমরা তো রাইজিং স্টার। আমাদের এখানে যথেষ্ট সুযোগ আছে বিনিয়োগের। তাদের আইটি সেক্টর, ব্লু-ইকোনোমিসহ যে সেক্টরগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ আছে, সেগুলোতে বিনিয়োগ করতে বলেছি।
পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী না থাকলেও বর্তমানে আগ্রহী বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিবেশী মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ বাংলাদেশ থেকে অনেক বেশি। আগে তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) আগ্রহ ছিল না। ইদানিং একটু আগ্রহ আছে। আমরা আগ্রহটাকে ধরে রাখতে চাই। যাতে আমাদের এখানে তাদের বিনিয়োগ বাড়ে। মোমেন বলেন, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের বলেছি, আপনারা শুধু আগ্রহী এনার্জি সেক্টরে। তাদের বিনিয়োগের ৯০ ভাগ এনার্জি সেক্টরে। আমরা বলেছি, আমরা নবায়নযোগ্য জ্বালানি চাই। নবায়নযোগ্য জ্বালানি আমাদের আরও দরকার আছে। তারা বলেছে, আইসিটিতে তাদের আগ্রহ আছে। তারা যদি এখানে বিনিয়োগ করে লাভবান হবে।
ইউক্রেন ইস্যুতে বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি সংকট চলছে। বৈঠকে এ ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না বা যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ সেক্টরে সহযোগিতা করবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন। চিন্তা থাকা ভালো। এতে যদি সুযোগ তৈরি হয়। এটাতো আলোচনার মধ্যেই। এ সেক্টরে আমাদের দেশে তাদের অবদান আছে। পুনরায় জিএসপি সুবিধা পাওয়া প্রসঙ্গে আলোচনার বিষয়ে মোমেন বলেন, আমরা যদিও রাজনৈতিকভাবে এটা নিয়ে খুব কথা বলি। ইন টার্মস অব টোটাল মানি, ইট’স নট এ বিগ ইস্যু (অর্থের বিবেচনায় জিএসপি খুব একটা বড় প্রভাব ফেলছে না)।
বৈঠকে র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সহযোগিতার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বহু দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ব্যবসায়ীক। ওদের ব্যবসায়ীরা খুব শক্তিশালী। আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হলে এগুলো আস্তে আস্তে আসবে। মার্কিন প্রতিনিধি দল বিনিয়োগ নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রস্তাব দিয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ওটা তো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দেবে। ওরা সরকারকে দেবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।