প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
প্রশ্নের বিবরণ : কোন বুঝমান ব্যক্তির যদি নামাজরত অবস্থায় অযু ছুটে যায় এবং সে লজ্জার কারণে সে নামাজ না ছেড়ে এই অবস্থায়ই নামাজের বাকি রাকাতগুলো আদায় করে নেয়, তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে? তেমনিভাবে কোনো ব্যক্তি যদি অযু ছাড়া কুরআন শরিফ স্পর্শ করে, তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে ?
উত্তর : আমাদের দেশে নামাজ ছেড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়াটাকে মানুষ খারাপ চোখে দেখে। এর কোনো পরোয়া করা যাবে না। কারণ, শুধু বায়ু এলেই মানুষ নামাজ ছাড়ে এমন তো নয়। হতে পারে তার অজুর কথা স্মরণ ছিল না, ভেবেছিল অজু আছে, পরে মনে পড়েছে যে তার অজু ছিল না। আগের অজুর পর সে পেশাব করেছে বা বাতাস এসেছে, তখন সে তো নামাজ ছেড়ে অজু করতে যাবেই। এখানে যে কোনো নামাজ ছেড়ে অজুর জন্য যাওয়া শরীয়তের নির্দেশ, কোনো লজ্জার বিষয় নয়। তবে, কেউ যদি নামাজ ছেড়ে না গিয়ে অজু ছাড়াই বাকী নামাজের অভিনয় করে যায় এবং সে বিশ^াস করে যে, তার এই নামাজ হচ্ছে না, পরে সে অজু করে আবার পড়ে নিবে, তাহলে সে গোনাহগার হবে কিন্তু ঈমান নষ্ট হবে না। নামাজ হচ্ছে মনে করলে, ঈমান নষ্ট হবে। কোরআন শরীফ স্পর্শ নিয়ে যেহেতু বিভিন্ন মত রয়েছে, তাই অজু ছাড়া কোরআন শরীফ স্পর্শ করলে ঈমান নষ্ট হয় না। এমন করা নীতি ঐতিহ্য ও আদবের খেলাফ। কেননা, উম্মতের প্রায় সকলের ঐক্যমত যে, অজু ছাড়া কোরআন শরীফের আয়াত স্পর্শ করা যায় না। স্বভাবতই আয়াতের ধারক মূল কোরআন শরীফও স্পর্শ করা যায় না। তবে, হাত না লাগিয়ে কোনো পবিত্র কাগজ বা কাপড় দিয়ে স্পর্শ করা যায়।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
[email protected]
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।