পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিটি করপোরেশনের প্রকল্প অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রেখে সরকারের ৪০ কোটি টাকারও বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল রোববার মামলাটির অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। সংস্থার উপ-পরিচালক মো: আনোয়রুল হক বাদী হয়ে যেকোনো মুহূর্তে এ মামলা দায়ের করবেন বলে জানা গেছে।
বিতর্কিত ‘মেসার্স রানা বিল্ডার্স প্রা:লি:’র মালিক মো: আলম,তার প্রতিষ্ঠানের আমমোক্তারপ্রাপ্ত মো: জাকির হোসেন, সালেহ আহাম্মদ, ইউসিবিএল ব্যাংকের কুমিল্লা শাখার তৎকালিন শাখা ব্যবস্থাপক মো: সারোয়ার আলম,ব্যাংকটির একই শাখার তৎকালিন এভিপি মো: আনিসুজ্জামান,একই শাখার তৎকালিন ক্রেডিট ইনচার্জ ছাইফুল আলম মজুমদার, একই শাখার নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিলেশনশিপ অফিসার মকামে মাহমুদুল ইসলাম আরেফিন,ইউসিবিএল কুমিল্লা শাখার সাবেক রিলেশনশিপ অফিসার দেবু বোশকে একটি মামলার আসামি করা হচ্ছে। আরেকটি মামলার আসামির তালিকা অভিন্ন। তবে এ মামলার আসামির তালিকায় ছালেহ আহমদের নাম নেই।
দুদক সূত্র জানায়, ‘ইমপ্রুভমেন্ট অব পোর্ট কানেকটিং রোড বাই বিসি ফ্রম অলঙ্কার টু নিমতলা’ নামে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন একটি প্রকল্প হাতে নেয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বনিম্ন দরদাতা (৫০ কোটি ৮৪ লাখ ৭০ হাজার ৪৭২ টাকা) হিসেবে ‘মেসার্স রানা বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেড’ কার্যাদেশ পায়। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এর মালিক মোহাম্মদ আলম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু মোহাম্মদ আলম দরপত্রের শর্ত ভঙ্গ করে আসামি মো: জাকির হোসেনকে ১০০০ টাকার জন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অপরিবর্তনীয় আমমোক্তারনামা দেন। আমমোক্তার দলিলে জাকির হোসেনকে সম্পাদিত চুক্তির প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বময় দায়িত্ব ও কর্তৃত্ব দেয়া হয়। কথিত এই ‘আমমোক্তার নামা’র বিপরীতে ছালেহ আহাম্মদ ‘রানা বিল্ডার্স-ছালেহ আহাম্মদ (জেভি)’র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দাবি করে ভুয়া সীল-স্বাক্ষরে ইউসিবিএল’র কুমিল্লা শাখায় একটি চলতি ব্যাংক হিসাব খোলেন। এছাড়া জাকির হোসেন আমমোক্তারনামাসহ বিভিন্ন কাগজপত্র ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ‘ মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ’ নামেও একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। সিটি করপোরেশেনের কার্যাদেশের বিপরীতে জাকির হোসেন তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ৯০ দিনের জন্য সাড়ে ৩ কোটি টাকা ঋণ নেন। পরবর্তীতে একই কার্যাদেশের বিপরীতে ৬ দফায় মোট ২০ কোটি টাকা ঋণ নেন। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় জাকির হোসেন একই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরও ২০ কোটি টাকা ঋণ নেন। ৪০ কোটি টাকার ঋণের বিপরীতে তিনি কুমিল্লা শহরে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা মূল্যের একটি বাড়ি, বুড়িচং উপজেলার শরীয়তপুর মৌজার ৬০ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমি, উত্তর বিজয়পুর মৌজায় ৮৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি জমিসহ মোট ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা মূল্যের সম্পত্তি মর্টগেজ রাখেন। ২০ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ না করায় সুদাসলে পরবর্তীতে সেটি ২৩ কোটি ৩৫ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।
এদিকে যে প্রকল্পের কার্যাদেশের বিপরীতে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে সেটি সমাপ্তির সময়সীমা কয়েক দফা বাড়িয়েও প্রকল্পটি অসমাপ্ত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যাদেশ বাতিলের জন্য রানা বিল্ডার্স-ছালেহ আহমদ (জেভি)কে ২৮ দিনের নোটিশ দিয়েছে। পরবর্তীতে রানা বিল্ডার্সকে এক বছরের জন্য কালোতালিকাভুক্ত করে।
অন্যদিকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী প্রকল্পের কাজ সম্পাদন না করায় চরম গণভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সরকারের ২ কোটি ৭৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৯ টাকার আর্থিক ক্ষতি সাধন হয়েছে। যা দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে-মর্মে কমিশন মামলার অনুমোদন দেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।