Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জানালেন তার আইনজীবী আত্মসমর্পণ করবেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২২, ১২:০২ এএম

দশ বছর কারাদÐপ্রাপ্ত সরকারদলীয় এমপি হাজী মোহাম্মদ সেলিম আত্মসমর্পণ করবেন। আদালতের বেঁধে দেয়া সময়সীমার মধ্যেই তিনি আত্মসর্পণ করবেন। এ কথা জানিয়েছেন তার আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাডভোকেট রাজা বলেন, আশা করছি আগামী ১৬ মে কিংবা তার কাছাকাছি সময়ে হাজী মো: সেলিম আত্মসমর্পণ করবেন। আত্মসমর্পণের পর তিনি হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিলও করবেন। তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।্ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে তিনি আত্মসর্পণ করবেন। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ২৫ মে’র মধ্যে বিচারিক আদালতে তার আত্মসমর্পণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের কারাদÐপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের এমপি হাজী মো: সেলিম গত ১ মে অনেকটা চুপিসারেই দেশত্যাগ করেন। তার পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে তিনি ব্যাংকক গেছেন। ৫ দিন থাইল্যান্ড কাটিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় তিনি দেশে ফেরেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গত ২৫ এপ্রিল হাজী মোহাম্মদ সেলিম এমপিকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর কারাদÐ বহালের রায় হাইকোর্ট থেকে বিচারিক আদালতে পাঠানো হয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)-এর অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান সেদিন বলেছিলেন, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হবে।

এর আগে গত বছর ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেয়া ১০ বছর কারাদÐাদেশ বহাল রাখেন হাইকোর্ট। তবে ৩ বছরের দÐ থেকে খালাস পান তিনি। রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। বিচারপতি মো: মঈনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

ওই আদেশের পর দুদকের কৌসুলি খুরশীদ আলম খান বলেন, দুদক আইনে (২৬-এর ২ ধারা) করা মামলায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ৩ বছরের কারাদÐাদেশ দিয়েছিলেন। সেই অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় হাজী সেলিমকে তথ্য গোপনের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, দুদক এ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। কিন্তু দুদক আইনের ২৭ (১) ধারা অনুসারে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের দায়ে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালত ১০ বছরের কারাদÐাদেশ দিয়েছিলেন। ওই অভিযোগে তার সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদÐাদেশ দেন আদালত। পরে বিচারিক আদালত বলেন, যেদিন হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পাবেন, সেদিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। আর আত্মসমর্পণ না করলে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। একই সঙ্গে যেসব সম্পত্তি নিয়ে এ সাজা দেয়া হয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিতে বলা হয়।

২০২০ সালের ১১ নভেম্বর এ মামলার বিচারিক আদালতে থাকা যাবতীয় নথি (এলসিআর) তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশ অনুসারে নথি আসার পর আপিল শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়। ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল তাকে দুই ধারায ১৩ বছরের কারাদÐ দেন বিচারিক আদালত। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন হাজী সেলিম। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট এক রায়ে তার সাজা বাতিল করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে দুদক। ওই আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

 

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ