পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডবিøউএইচও অনুমান করেছে যে, ২০২০ এবং ২০২১ সালে সেময় দেশগুলোর ঘোষিত সংখ্যার চেয়ে আরো দেড় কোটি বেশি লোক মারা গিয়েছিল। মেক্সিকোতে মহামারিতে প্রথম দুই বছরে অতিরিক্ত মৃত্যুর সংখ্যা কোভিড মৃত্যুর সরকারি হিসাবের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি ছিল। মিসরে অতিরিক্ত মৃত্যু সরকারি কোভিড সংখ্যার চেয়ে প্রায় ১২ গুণ বেশি ছিল। পাকিস্তানে এ সংখ্যা আট গুণ বেশি।
এসব অনুমান প্রায় প্রতিটি জাতির জন্য অন্যদের সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমন্বিত বিশেষজ্ঞদের একটি বিশ্বব্যাপী প্যানেলের মাধ্যমে গণনা করা হয় এবং গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। একসাথে তারা একটি চমকপ্রদ আভাস দিয়েছেন যে, অনেক সরকার কর্তৃক রিপোর্ট করা মৃত্যুর সংখ্যা মহামারির প্রকৃত সংখ্যাকে কতটা তীব্রভাবে হ্রাস করেছে।
বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন, সামগ্রিকভাবে, ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ কোটি ৪৯ লাখ বেশি মানুষ মারা গেছে যা স্বাভাবিক সময়ে প্রত্যাশিত ছিল। বেশিরভাগই কোভিডের শিকার হয়েছিল, তারা বলেছিল, তবে কেউ কেউ মারা গেছে কারণ মহামারিটি হার্ট অ্যাটাকের মতো অসুস্থতার জন্য চিকিৎসা যতœ নেওয়া আরো কঠিন করে তুলেছিল। পূর্ববর্তী সংখ্যা, শুধুমাত্র দেশগুলোর দেয়া মৃত্যুর সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে ছিল ৬০ লাখ।
মহামারি থেকে প্রাণহানির বেশিরভাগই ২০২১ সালে কেন্দ্রীভ‚ত হয়েছিল, যখন নতুন এবং আরো সংক্রামক রূপগুলো এমন দেশগুলোতেও ভাইরাসের উত্থান ঘটিয়েছিল যেগুলো পূর্বের প্রাদুর্ভাবকে প্রতিরোধ করেছিল। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী মারা যাওয়া মানুষের মোট সংখ্যা প্রায় ১৮ শতাংশ বেশি ছিল - অতিরিক্ত ১ কোটি মানুষ - মহামারি না থাকলে এটি হত, ডবিøউএইচও-এর সমন্বিত বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন।
সেন্ট মাইকেল হাসপাতাল এবং টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এপিডেমিওলজিস্ট ডা. প্রভাত ঝা যিনি বিশেষজ্ঞ ওয়ার্কিং গ্রæপের সদস্য ছিলেন, বলেছেন, ‘এ মহামারির সাথে যা ঘটেছে তা একেবারেই বিস্ময়কর, যার মধ্যে এটিকে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে আমাদের অক্ষমতাসহ’। এ গণনা ‘২১ শতকে হওয়া উচিত নয়।
ডবিøউএইচও মহামারির প্রথম মাসগুলোতে বিশেষজ্ঞ দলকে একত্রিত করে এবং অতিরিক্ত মৃত্যুহার হিসাবে পরিচিত একটি পরিমাপ গণনা করার চেষ্টা করার জন্য এটিকে দায়িত্ব দেয়। অতিরিক্ত মৃত্যুর তথ্য জানুয়ারি থেকে প্রস্তুত ছিল, কিন্তু ভারতের আপত্তির কারণে এটির প্রকাশ স্থগিত হয়ে গেছে, যা এর কতজন নাগরিক মারা গেছে তা গণনা করার পদ্ধতিকে বিতর্কিত করে।
ডবিøউএইচওর অনুমান, বিশ্বব্যাপী অতিরিক্ত মৃত্যুর প্রায় এক তৃতীয়াংশ, ৪৭ লাখ ভারতে হয়েছে। ২০২১ সালের শেষ পর্যন্ত ভারত সরকারের নিজস্ব পরিসংখ্যান হল ৪ লাখ ৮১ হাজার ৮০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তবে ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে মৃত্যুর উল্লেখযোগ্যভাবে কম রিপোর্ট করা হয়েছিল। যেখানে অতিরিক্ত মৃত্যু রিপোর্ট করা কোভিড মৃত্যুর সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, এ ব্যবধানটি মৃত্যুর তথ্য সংগ্রহের জন্য দেশগুলোর সংগ্রাম বা ইচ্ছাকৃতভাবে মহামারির সংখ্যা অস্পষ্ট করার জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করতে পারে। সূত্র : নিউ ইয়র্ক টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।