Inqilab Logo

রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত: র‌্যাব

ফলোআপ : নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০২২, ১২:০৫ এএম

ছাত্রলীগ কর্মীসহ গ্রেফতার ৩

ঢাকা নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ী ও ঢাকা কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শরিয়তপুর ও কক্সবাজারে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখা, র‌্যাব-২ ও র‌্যাব-৩ ঈদের ছুটিতে টানা যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। গতকাল বৃহস্পতিবার র‌্যাব সদর দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাতকারি দুইজনও রয়েছে।
সংঘর্ষের সূত্রপাতকারি মোয়াজ্জেম হোসেন সজিব, মেহেদী হাসান বাপ্পি ও কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী নাহিদ হত্যাকান্ডের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারি মাহমুদুর হাসান সিয়ামকে (ঢাকা কলেজ ছাত্র) শরিয়তপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত সিয়াম ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিউমার্কেট এলাকার সহিঃসতা ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন।
র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত বাপ্পি ও সজিব নিউমার্কেটের ওয়েলকাম ফাস্টফুডের কর্মচারী হিসেবে চাকুরী করত। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, রাজধানীর নিউমার্কেটের ক্যাপিটাল ফাস্টফুড এবং ওয়েলকাম ফাস্টফুর্ঢের এর কর্মচারীদের মধ্যে গত ১৮ এপ্রিল ইফতার বিক্রির টেবিল বসানো নিয়ে বাকবিতন্ডা থেকে ঘটনার সূত্রপাত ঘটে।
পরবর্তীতে তারা পরিচিত কিছু দূষ্কৃতকারিকে মোবাইল ফোনে ডেকে আনে। ওই দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জন চিহ্নিত দুস্কৃতকারি নিউমার্কেটে গিয়ে ক্যাপিটাল ফাস্ট ফুডের দোকান কর্মচারীদেরকে মারধর করে। তখন অন্যান্য দোকানের কর্মচারীরা আক্রমণ ঠেকাতে চেষ্টা করেছিল। দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধলে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর বাপ্পি ও সজিব কক্সবাজারে গিয়ে আতœগোপন করে। আর পরিচয় লুকানোর জন্য লম্বা চুল কেটে ছোট করে এবং কক্সবাজারে আবাসিক হোটেলে চাকরী নেয়ার চেষ্টা করেছিল। ঘটনার সময়ের সিসি টিভিফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গ্রেফতারকৃত ঢাকা কলেজের ছাত্র মাহমুদ্রæল হাসান সিয়াম সংঘর্ষের এক পর্যায়ে নাহিদকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় নাহিদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাহিদ মারা যান। ঘটনার পর সিয়াম গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান।
উল্লেখ্য গত ১৮ এপ্রিল রাত থেকে ১৯ এপ্রিল ভোর পর্যন্ত নিউমার্কেট এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। প্রায় ১৮ ঘণ্টা টানা সংঘর্ষে ২ জন নিহিত ও গণমাধ্যমকর্মী ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ সংঘর্ষে লিপ্ত উভয় পক্ষের প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়। সংঘর্ষের সময় রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙ্গচুর ও কয়েকটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সব ঘটনায় নিউমার্কেট থানায় দুইটি হত্যা মামলা ও পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়াসহ গাড়ি ভাঙ্গচুরের ঘটনায় পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা সিসি টিভির ফুটেজ দেখে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতার করে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এর আগে এর আগেও এসব ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ছাত্রলীগের কর্মীসহ একাধিক ব্যক্তিকে ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ