পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগ করে নিতে অনেকে গ্রামে ফিরেছেন। আবার অনেকে পরিবার নিয়ে এই ছুটিতে গেছেন ঘুরতে। যাতায়াতে বাস, ট্রেন ও লঞ্চের ভোগান্তি থেকে বাঁচতে অনেকের প্রথম পছন্দ ছিল আকাশপথ। ফলে ঈদযাত্রায় বেড়েছে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের চাহিদা। এয়ারলাইনসগুলোর তথ্য বলছে, ঈদযাত্রায় আকাশপথে এবার অন্তত ৪০ হাজার মানুষ ভ্রমণ করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারণে গত দুই বছর ঈদের সময় আকাশপথে যাত্রীদের চাপ না থাকলেও এবার ঈদে বাড়তি চাপের মুখে পড়েছে আকাশ পথ। ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে শিডিউল ফ্লাইটের অধিকাংশ এয়ার টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আকাশপথে সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশালের টিকিটের চাহিদা ছিল তুলনামূলক বেশি।
এ বিষয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল থেকে ঈদের আগ পর্যন্ত সবগুলো এয়ারলাইনসের ফ্লাইট বুকিং ছিল। যাত্রীদের চাপ সামলাতে শিডিউল ফ্লাইটের বাইরে রাজশাহী রুটে একটি ও সৈয়দপুর রুটে দুটি বাড়তি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস। ঈদের আগের কয়েক দিনের যাত্রীদের পরিসংখ্যান হিসাব করলে করলে দেখা যায়, অন্তত ৪০ হাজার যাত্রী আকাশপথে ঢাকা ছেড়েছেন। গত ২৮ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত এই পাঁচ দিনে ২৫ থেকে ৩০ হাজার যাত্রী ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন।’
দেশের বাইরে আকাশপথে কেমন যাত্রী গেছে জানতে চাইলে কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আকাশপথে দেশের বাইরে কত মানুষ গেছে, এই সংখ্যাটা বলা অনেক কঠিন। কারণ, এ সময় আন্তর্জাতিক রুটে কোনো বাড়তি ফ্লাইট ছিল না।’
যাত্রীদের চাপ সামলাতে ঈদের আগের দিন তিন-চারটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছে নভোএয়ার। উড়োজাহাজ সংস্থাটির হেড অব সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং মেসবাহ উল ইসলাম বলেন, ‘২৮ থেকে ৩০ এপ্রিল—এ সময়ে শিডিউল ফ্লাইটের বাইরে তিন-চারটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করেছি আমরা। ঈদের পর অনেকে এখন আকাশপথে ঢাকায় ফিরছেন। আগামী ৮ মে পর্যন্ত ঢাকাগামী অভ্যন্তরীণ সব ফ্লাইটের টিকিট বুকিং হয়ে গেছে।’
ঈদের আগে কয়েক দিনে আকাশপথে ৪০ হাজারের বেশি যাত্রী বাড়ি গেছেন বলে জানিয়েছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের চেয়ে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে অনেক চাপ ছিল। অভ্যন্তরীণ এয়ারলাইনসগুলোর সবাই ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়েছিল। মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করেছে। আমরা বিমানবন্দরে বাড়তি যাত্রীদের বসার ও নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছি। যেখানে দিনে আমাদের অভ্যন্তরীণ রুটে ৫-৬ হাজার যাত্রী থাকে, সেখানে ঈদের আগে ৮-১০ হাজার যাত্রী হয়েছে। সাত দিনের তথ্য নিলে ঈদের আগে প্রায় ৪০-৫০ হাজার যাত্রী ঈদ উদ্যাপন করতে আকাশপথে ভ্রমণ করেছেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।