আত্নমানবতার সেবায় প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন কুমিল্লার কৃতি সন্তান বিশিস্ট সাংবাদিক কলামিষ্ট দৈনিক আজকের বিজনেস বাংলাদেশ ও ডেইলি বাংলাদেশ আপডেট পত্রিকার সম্পাদক মেহেদী হাসান বাবু। আজ রোববার সেগুনবাগিচা ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয় সামনে ডিআইজি হাবিবুর রহমান এর এক ক্লাসমেট শহীদুজ্জামান মোল্লা নামে সেই সহপাঠীটি পারিবারিক আর-আর্থিক জীবনে দারুণ দুরবস্থায় রয়েছেন।
সেই অসহায় শহীদুজ্জামান মোল্লার হাতে জেড অ্যান্ড জেড ফার্মার সৌজন্য উত্তরণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে
৯সিটের ইজিবাইক তুলে দেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও জেড অ্যান্ড জেড ফার্মার স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বাবু।
মানবিক কার্যক্রমে গত বছরগুলোতে দারুণ সাড়া জাগায় উত্তরণ ফাউন্ডেশন। দুঃস্থদের পাশাপাশি বেদে ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে কাজ করে আলাদা পরিচিতি অর্জন করেছে উত্তরণ ফাউন্ডেশন। এই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান (বিপিএমবার)। এবার তিনি রমজান ও ঈদের আগ মুহূর্তে ঈদ উপহার ও ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি নিজের পুরনো এক সহপাঠীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।
ঘটনাচক্রে অনেকদিন পর নিজের এক ক্লাসমেটের খবর জানলেন তিনি। শহীদুজ্জামান মোল্লা নামে হাবিবুর রহমানের সেই সহপাঠীটি পারিবারিক আর-আর্থিক জীবনে দারুণ দুরবস্থায় রয়েছেন। সেটা বিবেচনায় রেখে সহপাঠীর পাশে দাঁড়াতে চাইলেন ডিআইজি হাবিবুর হমান ও তার উত্তরণ ফাউন্ডেশন। সেই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জেড অ্যান্ড জেড ফার্মার সৌজন্যে একটি ৯ সিটের ইজিবাইক তুলে দেওয়া হয় শহীদুজ্জামান মোল্লার হাতে।
এই সময় শহীদুজ্জামান মোল্লা নিজে সেটি বুঝে নেন। উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি হাবিবুর রহমান ও জেড অ্যান্ড জেড ফার্মার স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান বাবু।
ইতঃপূর্বে উত্তরণ ফাউন্ডেশন তৃতীয় লিঙ্গের ও বেদে জনগোষ্ঠীকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করে। উত্তরণ ফাউন্ডেশনের সার্বিক প্রচেষ্টা ও বর্তমান সরকারের নানামুখী উদ্যোগে বেদে জনগোষ্ঠী আজ বৈষম্যমুক্ত হয়ে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে অগ্রসরমান।
এর বাইরে উত্তরণ ফাউন্ডেশন সাভারে বেদে পল্লী ও তৃতীয় লিঙ্গের গোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থা উন্নয়ন থেকে শুরু করে স্কুল, কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার, গাড়ি চালনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও বুটিক হাউসসহ নানা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেদে পল্লীর অভিশপ্ত বাল্যবিবাহ রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীতে বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে এবং সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত পিছিয়ে পড়া তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবন-মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘উত্তরণ কর্ম-সংস্থান প্রশিক্ষণ’ কর্মসূচি চালু করা হয়। তৃতীয় লিঙ্গের সম্প্রদায়ের জীবনমান উত্তরণ,তাদের পুনর্বাসন ও মানুষ হিসেবে তাদের সামাজিক মর্যাদা সমুন্নত করতে সাড়া জাগানো বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে ফাউন্ডেশনটি।