পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পারিক স্বার্থে যোগযোগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশ দু’টির মধ্যে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়া আন্ত-সীমান্ত রুটগুলো পুনরায় চালু করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের যোগাযোগ বাড়াতে হবে। যদি দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পায়, তবে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ আসাম ও ত্রিপুরা চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে।
গতকাল ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শংকর গণভবনে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কানেকটিভিটি বাড়াতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বিশেষ করে ১৯৬৫ সালে বন্ধ হওয়া বিভিন্ন রুট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, দু’দেশের মধ্যকার যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালী হলে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলো চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের পারস্পরিক সফরের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে সাহায্য করছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে সন্তোষজনক অগ্রগতি হচ্ছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা এবং কুশিয়ারা ও ফেনী নদীর পানি বণ্টনসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। কোভিড মহামারি বিষয়ে আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা পৃথিবীতেই এর একটি প্রভাব পড়েছে। তবে সময়মতো পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি অনেক ভালো ও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ বিষয়ে এস জয়শঙ্কর বলেন, ভারতেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে এবং পর্যটকরাও দেশটিতে আসছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের একটা প্রভাব পড়ছে, তবে এ বছর ভারতে খুব ভালো গম উৎপাদন হয়েছে বলে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।