Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গণতন্ত্রের পথে বাধা বিএনপি : সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৪ এএম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্র এবং প্রগতির পথে বাধাই হচ্ছে বিএনপি। গতকাল শেখ জামালের ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রক্তের সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা মিশে আছে। পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর পরিবার হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের সংশ্লিষ্টতা এবং পরবর্তীতে দেশের রাজনীতিতে কর্মসম্পর্কের যে অলংঘনীয় দেয়াল তা গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকল গণতান্ত্রিক দেশপ্রেমিক শক্তিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বাংলার মাটি থেকে চিরতরে বন্ধ করে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম প্রতিদিনই বলেন আওয়ামী লীগ দেশ ধ্বংস করছে, অর্থনীতি ধ্বংস করছে। তার মুখে শুধু ধ্বংসের বাণী। তিনি শুধু ধ্বংসের কথাই জানেন। কারণ, তারা ক্ষমতায় থাকতে সব ধ্বংস করে গেছেন। এ জন্য দেশের উন্নয়ন এখন তাদের চোখে পড়ে না। আসলে নেতিবাচক রাজনীতির জন্য বিএনপি নিজেরা নিজেদের ধ্বংস করছে।
বিএনপির জাতীয় সরকারের দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের জাতীয় সরকারের নামে গতবার লেজে গোবরে অবস্থা ছিলো, এবারও বিএনপির জাতীয় সরকার কি হবে তা তাদের রাজনীতি থেকেই বুঝা যায়। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে করতে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

এর আগে শেখ জামালের জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পরে আওয়ামী লীগের পক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সমম্পাদক এস এম কামাল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।

উপাত্ত সুরক্ষা আইনের কিছু ধারা মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক : আসক
স্টাফ রিপোর্টার: ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ এ জনগণের সাংবিধানিক অধিকার বিশেষত ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার ও তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার আহŸান জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মানবাধিকার সংগঠনটির বিবৃতিতে বলা হয়, স¤প্রতি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ থেকে ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন-২০২২’ নামে একটি আইনের খসড়া করা হয়েছে। খসড়া আইনটির ওপর অংশীজনের মতামত সংগ্রহের জন্য এটি বিভাগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উন্মুক্ত করা হয়েছে। ২৭ এপ্রিলের মধ্যে সর্বসাধারণের পর্যবেক্ষণ, মতামত ও সুপারিশ প্রদানের জন্য আহŸান জানানো হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উপাত্ত সুরক্ষার লক্ষ্যে আইনের খসড়া তৈরি করায় সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। একইসঙ্গে আসক মনে করে, এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন যা প্রতিটি নাগরিক, প্রতিষ্ঠান তথা সমাজের প্রতিটি খাতের ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই এমন জনগুরুত্বপূর্ণ আইন পাস করার আগে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা ও পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে। পূর্বেকার বিভিন্ন আইন বিশেষত ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮’ এর নানা ধরনের অপব্যবহারের অভিজ্ঞতা থেকে আসক মনে করে, উপাত্ত সুরক্ষা আইন প্রয়োজন, তবে তা জনগণের অধিকার নিশ্চিতের দৃষ্টিকোন থেকে প্রণয়ন করা উচিত। খসড়া আইনে ব্যবহৃত বিভিন্ন টার্মের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞার অনুপস্থিতি, অস্পষ্টতা বা বিশালতার কারণে এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকারসহ অন্যান্য মানবাধিকার লংঘনের ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগ ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। আপাত দৃষ্টিতে প্রতীয়মান হচ্ছে, এ খসড়া আইনের বেশকিছু ধারা জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক মানবাধিকার, তথ্যের অধিকার এবং এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক মানদÐের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। একইসঙ্গে, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে এ ধরনের আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আসক সরকারের কাছে আহŸান জানিয়ে বলেছে, খসড়া ‘উপাত্ত সুরক্ষা আইন, ২০২২’ এর ওপর মতামত প্রদানের সময়সীমা বাড়ানো এবং বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে উন্মুক্ত ও অংশগ্রহণমূলক আলোচনার আয়োজন করা, খসড়া বিধানগুলো পুনরায় পর্যালোচনা করে এ অস্পষ্টতা দূর করা। জনগণের সাংবিধানিক ও মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ধারাগুলো বাদ দেওয়া এবং খসড়া পর্যালোচনার সময় সাংবিধানিক সব অধিকারসহ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার অধিকার এবং তথ্য অধিকার আইন ২০০৯ এর ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ