Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশ একটি নিরাপদ এবং টেকসই পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে খ্যাতি ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: বিজিএমইএ সভাপতি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২২, ৮:৩১ পিএম

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, পোশাক শিল্পে নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধিত হয়েছে-যা শিল্পকে বিশ্ববাসীর প্রশংসা এনে দিয়েছে, শিল্প তা ধরে রাখতে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি বলেন, “সরকার, ব্র্যান্ড, আইএলও ও উন্নয়ন সহযোগীগন কর্তৃক যৌথভাবে শ্রমিকদেরকে ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি শিল্পে ব্যাপক নিরাপত্তা উদ্যোগ নেয়ার কারনে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে একটি বাস্তব রুপান্তর ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, শিল্পটি এখন অন্যান্যদের জন্য অনুকরণীয় একটি রোল মডেল এবং আমরা একটি নিরাপদ এবং টেকসই পোশাক সোর্সিং গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশের খ্যাতি ধরে রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ফারুক হাসান ২৮ এপ্রিল ২০২২ ঢাকায় জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাননীয় বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, এমপি উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ এহছানে এলাহী।

বিজিএমইএ সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলো নিরাপদ হয়ে উঠার পাশাপাশি শ্রমিক ও মালিকদের মানসিকতাতেও একটি সুস্পষ্ট পরিবর্তন এসেছে। উভয়পক্ষই কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তাকে শিল্পের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখছেন।

তিনি বলেন, নিরাপত্তা উদ্যোগসমূহের পাশাপাশি শ্রমিক-ব্যবস্থাপনা সম্পর্ক বিষয়ে আইটিসি-আইএলও কর্তৃক ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, কারখানা ম্যানেজমেন্ট এবং শ্রমিক উভয়ের জন্য শ্রম আইন এ পরিবর্তনে অবদান রেখেছে।

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আরএমজি সাসটেইনেবিলিটি কাউন্সিল (আরএসসি) গঠন করা হয়েছে এবং আরএসসি কারখানা পরিদর্শন, সংস্কার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ, নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ অব্যাহত রেখেছে।

ফারুক হাসান তার বক্তব্যে শ্রম আইন সংশোধন, শ্রমবিধি প্রনয়ন, বাধ্যতামুলক নিরাপত্তা কমিটি ও নির্বাচিত অংশীদারী কমিটি গঠনসহ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, রপ্তানির বিপরীতে পোশাকখাতের উদ্যোক্তারা শ্রম মন্ত্রনালয়ের অধীনে গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিলে বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলারের অধিক অর্থ জমা দিচ্ছেন, যা প্রতিবছরে রপ্তানির সাথে সাথে বাড়ছে।

অনুষ্ঠানে আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি আরদাশীর কবির এবং বিকেএমইএ এর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ