পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবীস সমিতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আবারও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার জের থেকে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটতে পারে-এই আশঙ্কা থেকে বার প্রাঙ্গণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বারের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স লাউঞ্জে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের মাঝে হাতাহাতির এ ঘটনা ঘটে। এর আগেও সভাপতি-সম্পাদকের কক্ষে ন্যামপ্লেট লাগানোকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মাঝে হাতাহাতি হয়।
বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা জানান, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশননে ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মার্চে। নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট এওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান রয়েছেন। এরপরও আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরা জোরপূর্বক নতুন আহ্বায়ক হিসেবে অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহকে ঘোষণা করেন। অজিউল্লাহ ও শফিউল্লাহর নেতৃত্বে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তৃতীয় তলার কক্ষের দরজার তালা ভেঙে তারা রক্ষিত ব্যালট বাক্স খুলে ভোট গণনা শুরু করেন। এ সময় নবনির্বাচিত সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মমতাজ উদ্দিন ফকির তাদের সঙ্গে ছিলেন। আর কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন আইনজীবীরা। অন্য দিকে বিএনপিপন্থিরা কক্ষের বাইরে অবস্থান করেন। একপর্যায়ে তারা কক্ষের জানালা ভাঙচুর করে। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার ২০২২-২০২৩ কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহ নিজেই সংবাদ সম্মেলন করেন।
তিনি দাবি করেন যে, তাকে গত ১২ এপ্রিল সুপ্রিমকোর্ট বারের ১৫ তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত ১৫ ও ১৬ মার্চ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত ভোটের করণীয় কাজ সম্পন্ন করা হবে। তারই আলোকে ফলাফল বুধবার ঘোষণা করা হবে।
এদিকে, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, বারের ১৫ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। নির্বাচন পরিচালনায় গঠিত কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র আইনজীবী এওয়াই মসিউজ্জামান বিদ্যমান রয়েছেন। তিনি আবারও আসবেন। আর নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট অজিউল্লাহকে ঘোষণা করাটা বেআইনি। এ ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত বারের পক্ষ থেকে গ্রহভ করা হয়নি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট বারের ১৩ তম সভার পরে আর কোনো সভা হয়নি। তার মানে ১৪ তম সভা না করে ১৫ তম সভা কী করে হয় ?
পরে দুপুর ৩টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স কক্ষের পেছনে জড়ো হতে থাকেন আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবীরা। এর আগে থেকেই ওই কক্ষের সামনে ছিলেন বিএনপির আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।