পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপির মহাসচিব ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, একটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজস্ব কিছু মতামত থাকলেও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি ২০ দলীয় জোটেই আছে। ২০১২ সালে ১৮ দলীয় জোট গঠনের পর থেকে এলডিপি বর্তমান সরকারের অনেক লোভনীয় প্রস্তাবকে উপেক্ষা করে ২০ দলীয় জোটের শরীক হিসেবে রয়েছে। আগামীতে সরকার পতনের আন্দোলনেও থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনে মন্ত্রীসহ বিভিন্ন অফার থাকলেও এলডিপি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। এলডিপি সেদিন জোট ত্যাগ করলে ২০ দলীয় জোট ক্ষতিগ্রস্ত হতো। সরকার বিরোধী আন্দোলন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলনে সর্বদা বিএনপির পাশে ছিলো এলডিপি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে সরকারের তরফ থেকে অনেক লোভনীয় প্রস্তাব থাকলেও আমরা তা গ্রহণ করেনি। দুঃসময়ে আমরা বিএনপির পাশে থেকেছি। ভবিষ্যতেও থাকবো।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে ২০ দলীয় জোটকে উপেক্ষা করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করায় তখন আমাদের দ্বিমত থাকলেও বৃহত্তর ঐক্যর স্বার্থে এলডিপি বিএনপির পাশে থেকেছে। নিশ্চিত পরাজয় জেনেও প্রহসনের সেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবুও বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি।
ড. রেদোয়ান বলেন, এই সরকার ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এর বিরুদ্ধে গণ আন্দোলনের কোনও বিকল্প নেই। বাংলাদেশের সব মানুষ বিশ্বাস করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই কেউ চায় নির্দলীয় সরকার, কেউ চায় নির্বাচন কালীন সরকার, কেউ চায় তত্ত¡াবধায়ক সরকার। এলডিপি চায় জাতীয় সরকার। সবাই তার মতামত প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরাই সিদ্ধান্ত নিবে এই সরকার কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে বিদায় নিবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় এলডিপি বিএনপির সঙ্গে একমত। ইদানিং লক্ষ্য করছি বিএনপির কিছু নেতা একদিকে জাতীয় ঐক্যর ডাক দিচ্ছেন অন্যদিকে ঐক্য বিনষ্টের জন্য বিভিন্ন সভা সমাবেশে আপত্তিকর বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। একটি দল তাদের নিজস্ব বক্তব্য প্রকাশ করলে তারা সরকারের দোসর হয়ে যাবে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।