পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের সঞ্চয়ের সব অর্থ বিভাগে দান করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফি আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। গত সোমবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন প্রখ্যাত এই শিক্ষক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রফেসর শফি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার ১২টা ১০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। ড. মোহাম্মদ শফি ছিলেন ঢাবির মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। বাংলাদেশের মৎস্য খাতে রয়েছে তাঁর অনবদ্য অবদান। বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীর মতে তিনি অত্যন্ত ভালো ও প্রখ্যাত একজন শিক্ষক ছিলেন। বিভাগের ভবন নির্মাণে তিনি প্রায় ৭০ লাখ টাকা দান করেছেন। এদিকে প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফির মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামান গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোক বাণীতে ভিসি বলেন, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শফি ছিলেন একজন প্রখ্যাত মৎস্যবিজ্ঞানী এবং নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ও গবেষক। অত্যন্ত বিনয়ী, সজ্জন ও নিষ্ঠাবান এই প্রফেসর ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। তিনি বিভাগের অবকাঠামোসহ সার্বিক উন্নয়নে বিপুল অংকের আর্থিক অনুদান প্রদান করে এক মহতী দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন। বাংলাদেশে মৎস্যবিজ্ঞান গবেষণার পথিকৃৎ এই প্রফেসর মৎস্যবিজ্ঞান সংক্রান্ত অনেক মূল্যবান পুস্তক রচনা করেছেন। মৎস্যবিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণায় অসাধারণ অবদানের জন্য গুণী এই প্রফেসর স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
ভিসি ড. মো. আখতারুজ্জামান মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার পরিবারের শোক-সন্তপ্ত সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
প্রসঙ্গত, অর্থাভাবে ১৪ বছর ধরে একতলায় আটকে ছিল ঢাবির মাৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের ভবন নির্মাণের কাজ। ক্লাসরুম সংকট, ছোট গবেষণাগার ছাড়াও ঠিকমতো জায়গা হতো না শিক্ষকদের। এ অবস্থায় এগিয়ে আসেন বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যাম ড. মোহাম্মদ শফি। সারা জীবনের সঞ্চয়ের প্রায় ৭০ লাখ টাকা তিনি দান করেন বিভাগের ভবন নির্মাণে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।