পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বাংলাদেশ ভারতের সহযোগিতা চেয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) নিজ দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ভারত বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে উত্থাপন করবে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪৫ লাখ ভারতীয় বসবাস করে। তারা খুবই শক্তিশালী। তারাও সরকারকে বলেছে। এটি হয়েছে শুধু ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে।
এদিকে গত রোববার রাজধানীতে এক সেমিনারে অংশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস বলেছিলেন, সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা ছাড়া র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।
এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা মোমেনের কাছে জানতে চান, বাংলাদেশ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না? জবাবে তিনি বলেন, বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তারা যে বিষয়টি বলছে সেটি হচ্ছে দায়বদ্ধতা। এই দায়বদ্ধতা ম্যাকানিজম র্যাবের অভ্যন্তরে রয়েছে। অন্যায়ের জন্য কিছু কিছু র্যাব কর্মকর্তার শাস্তিও হয়েছে। তবে এই বার্তাটি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ঠিকমতো পৌঁছায় না। এগুলো তাদের কাছে ঠিকমতো পৌঁছানো দরকার। যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো হয়ত আমাদের ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি, আগামীতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের আসন্ন বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৮ এপ্রিল তিনি ঢাকায় আসছেন। মন্ত্রী বলেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশেষ বার্তা নিয়ে আসবেন। বিশেষ বার্তাটি কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি একটি বিশেষ বার্তা দেবেন এবং ভারতীয় পত্রপত্রিকা বলছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দিতে আসছেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এবার হয়তো তারিখসহ আমন্ত্রণ দেওয়া হবে। সফরের সময় জয়শঙ্কর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।
জয়শংকরের সঙ্গে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবকিছু নিয়ে আলোচনা হবে। এরমধ্যে তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসহ অন্যান্য বিষয়, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, বাণিজ্য বিষয়ক বিভিন্ন অমীমাংসিত বিষয় রয়েছে।
তিন দেশের হাইওয়ে- ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ডের মধ্যে সড়ক পথে কানেক্টিভিটি প্রতিষ্ঠিত করার কাজ চলছে এবং এই উদ্যোগে সংযুক্ত হতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা তাদের আবার অনুরোধ করবো। ইতোমধ্যে ভারত এ বিষয়ে রাজি হয়েছে এবং থাইল্যান্ডের উপ-প্রধানমন্ত্রী আমাকে জানিয়েছেন তাদেরও কোনও আপত্তি নেই। এ বিষয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রাখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।