বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান ঈদুল ফিতরের আগে যাত্রীদের, বিশেষ করে পোশাক শ্রমিকদের যাতায়াত সহজ করতে বিশেষ রেল পরিষেবা পরিচালনা এবং রেল পরিষেবায় আরও কোচ যুক্ত করার জন্য সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের রুটে রেলের ধারন ক্ষমতা বাড়ানো হলে তা বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ভাইবোনকে তাদের নিজ নিজ গ্রামে যেতে সাহায্য করবে। সেখানে তারা প্রিয়জন ও আত্মীয় স্বজনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করবেন।

আজ মঙ্গলবার বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে বিজিএমইএ এর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় রেলভবনে মাননীয় রেলমন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন, এমপি এর সাথে সাক্ষাৎকালে এ অনুরোধ জানান হয়।
বৈঠকে বিজিএমইএ এর পরিচালক আসিফ আশরাফ ও পরিচালক ব্যারিষ্টার ভিদিয়া অমৃত খানও উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ফারুক হাসান যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের জন্য ক্রমাগত বাড়তে থাকা চাহিদা পূরণে চলমান রেলওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্ভাব্য স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করার জন্য আবারও অনুরোধ জানান।

তিনি বলেন, নতুন রেলপথ নির্মাণ, একক লাইনকে ডাবল ট্র্যাকে উন্নীতকরণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রুপান্তরের প্রকল্পগুলো দেশের ভেতরে যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং প্রতিবেশী ভারতের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় লক্ষ্যনীয় উন্নতি ঘটাবে, যা আঞ্চলিক বানিজ্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পগুলো সমাপ্ত হওয়ার পরে বানিজ্য বৃদ্ধি পাবে, কারণ রেল মালামাল পরিবহনের জন্য একটি নিরাপদ, মূল্য সাশ্রয়ী ও সময় সাশ্রয়ী পরিবহন মাধ্যম।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ বাড়াতে সরকারের গৃহীত রেলওয়ে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভারত থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনের সুবিধা প্রদান করবে।